প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার ঢালাও সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ১০ শতাংশ হারে জরিমানা দিয়ে যে কোনো খাতে কালো টাকা সাদা করা যাবে।
বৃহস্পতিবার দীর্ঘ বাজেট বক্তৃতায় কালো টাকা সাদা করার বিষয়ে কিছুই বলেননি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
তবে বাজেট বক্তৃতার শেষে অর্থমন্ত্রী সংসদে যে অর্থ বিল উপস্থাপন করেছেন, তাতে কালো টাকা সাদা করার সুযোগের কথা বলা হয়েছে।
চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটে ১০ শতাংশ হারে জরিমানা দিয়ে পুঁজিবাজার ও সরকারি ট্রেজারি বন্ডে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার উপস্থাপিত অর্থ বিলের ১৭ অনুচ্ছেদে ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশে ১৯ (ই) ধারা সংযোজন করে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এতে ব্যক্তি শ্রেণির আয়করের নির্ধারিত হারের সঙ্গে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ জরিমানা দিয়ে কালো টাকা (অপ্রদর্শিত আয়) সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করতেও ১০ শতাংশ হারে জরিমানা, আবার আগের যে কোনো সময়ের অপ্রদর্শিত আয়ের ক্ষেত্রেও একই হারে জরিমানা দিতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক হিসাব অনুযায়ী, দেশের জিডিপির ৪০ থেকে ৮০ শতাংশই কালো টাকা। আর গত ২০১০-১১ অর্থবছরে জিডিপির আকার ছিল ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা।
এ হিসাবে দেশে মোট অপ্রদর্শিত সম্পদের পরিমাণ ৩ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা থেকে ৬ লাখ ২৯ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা বা সমমূল্যের সম্পদ।
এই বিশাল সম্পদ অর্থনীতির মূল ধারায় ফিরিয়ে আনার নামে বারবার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হলেও তা গ্রহণ করছেন না ওই টাকার মালিকরা। ফলে বছর শেষে অল্প পরিমাণ অর্থই সাদা হতে দেখা যায়।
স¤প্রতি ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী বলেছিলেন, “আমি মোটেই কালো টাকা সাদা করার পক্ষে নই। তবে একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে অনেক কিছুর সঙ্গেই সমঝোতা করে চলতে হয়।”