নতুন করে শুল্ক আরোপ এবং গত অর্থবছরের চাইতে এবার বেশি হারে শুল্ক আরোপ করার কারণে নতুন অর্থবছরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পণ্য, সিগারেট, ফলের জুস, আইসক্রিম, মিনারেল ওয়াটার, টয়লেট পেপার, পোশাক সামগ্রী, তৈরি পোশাক সামগ্রী ও বিদেশী সিরামিক পণ্যসহ অন্তত ৩৭টি পণ্যের দাম বাড়বে। শুল্ক বাড়ানোর তালিকায় বিভিন্ন ধরনের প্লাস্টিক সামগ্রী, ফল, গ্লুকোজ, জ্যাম, জেলি ও সস রয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ মেশিনের ওপর শতভাগ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন। বর্তমানে এর শুল্ক রয়েছে ৬০ শতাংশ। একই হারে সিগারেটের ওপর শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। আইসক্রিমের ওপরে ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। অথচ এক্ষেত্রে গত অর্থবছরে শুল্ক হার ছিল ‘শূন্য’।
প্রস্তাবিত ২০১২-১৩ অর্থবছরে সিগারেটের ওপর সম্পূরক শুল্ক মূল্যস্তরভেদে মাত্র ১ থেকে ৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। আর এক্ষেত্রে সিগারেটের বর্তমান মূল্যস্তর ১০% করে বেড়ে যাওয়ার ফলে সিগারেট কোম্পানিগুলো শত শত কোটি টাকা বাড়তি মুনাফা অর্জনের সুযোগ পাবে। স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিড়ি পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে সস্তা তামাকপণ্য হলেও এর মূল্য বাড়ানোর কোন প্রস্তাব নতুন বাজেটে নেই।
একইভাবে জর্দা গুলসহ ধোঁয়াবিহীন তামাকপণ্যের ব্যবহার ক্রমাগত বাড়তে থাকলেও এবারের বাজেটে এগুলোর ওপরেও কোন করারোপ করা হয়নি। উল্লেখ্য, বিড়ির ওপর বর্তমান করের হার তামাকপণ্যের মধ্যে সর্বনিম্ন ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক। প্রস্তাবিত বাজেট কার্যকর হলে বাড়বে এয়ার কন্ডিশনার (এসি)-র দাম। এয়ার কন্ডিশনারের ওপর বিদ্যমান মোট ১৫২ শতাংশ আমদানি শুল্ক, মূসক, অগ্রিম আয়কর ও এটিভি বাড়িয়ে ২১৩ শতাংশ করা হয়েছে। যার ফলে এ খাতের ওপর শুল্ক বেড়েছে ৬৩ শতাংশ।