বার্তা৭১ ডটকমঃ অস্ট্রেলিয়ার পর এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে সফরকারীদের ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে টাইগাররা।
এর আগে নিউজিল্যান্ডের সাথে দশবার টি-টোয়েন্টিতে দেখা হয়েছে বাংলাদেশের। কিন্তু কোন ম্যাচে জয়লাভ করতে পারেনি। এবার সেই হারের বৃত্ত ভেঙ্গে ফেলেছে রিয়াদ বাহিনী।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় কিউইরা। আগে ব্যাট করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। প্রথম ওভারেই সাফল্য পান নাসুম আহমেদ। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলে নাসুমের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন ওপেনার রাচিন রবীন্দ্র।
এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে নাসুম ফেরান আরেক ওপেনার ফিন অ্যালানকেও। এতে ২.৪ ওভারে মাত্র ১৬ রানে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে তারা।
তবে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলকে খেলায় ফেরান অধিনায়ক টম ল্যাথাম ও উইলি ইয়াং। ভয়ংকর হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন মেহেদি হাসান। তার শিকার হয়ে ১০.৩ ওভারে ৫১ রানে ফেরেন কিউই অধিনায়ক ল্যাথাম।
এরপর ১২তম ওভারে বোলিং এসে নতুন ব্যাটসম্যান হেনরি নিকোলাসকে বোল্ড করেন নাসুম আহমেদ। ঠিক পরের বলে নাসুমের চতুর্থ শিকার হন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। চার ওভারে মাত্র ১০ রানে নিউজিল্যান্ডের প্রথম সারির চার ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরান বাঁ-হাতি এ অর্থোডক্স স্পিনার।
এরপর জোড়া আঘাত হানেন ‘কাটার মাস্টার’ মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি টম ব্লান্ডেল ও ম্যাকনকির উইকেট তুলে নেন। মুস্তাফিজের পর অ্যাজাজ প্যাটেলের স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন পেসার সাইফউদ্দিন।
এরপর আবারো আঘাত হানেন ‘কাটার মাস্টার’। ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই তুলে নেন উইল ইয়াংয়ের উইকেট। সবশেষ উইল ইয়াংয়ের ৪৬ রানের ওপর ভর করে ১৯.৩ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯৩ রান করে নিউজিল্যান্ড।
৯৪ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই লিটন দাসকে সাজঘরের পথ দেখান কোল ম্যাকঞ্চি। কিউই অফস্পিনারকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ারে ফ্যাবিয়েন অ্যালেনের হাতে ক্যাচ দেন টাইগার ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে ১১ বলে ৬ রান করেন তিনি।
এরপর ২৪ রানের ছোট একটি জুটি গড়েন নাইম আর সাকিব আল হাসান। কিন্তু এ জুটিও বড় হয়নি। অ্যাজাজ প্যাটেলকে ডাউন দ্য উইকেটে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তিনি ৮ বলে ৮ রান করেন। সাকিবের পর মুশফিকুর রহীমকে (০) বোল্ড করে দেন প্যাটেল। এরপর ব্যক্তিগত ২৯ রানে রান আউট হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম।
গুরুত্বপুর্ণ ৪ উইকেট হারিয়ে দল যখন বিপদে, তখন আফিফ হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে হাল ধরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অধিনায়কের অপরাজিত ৪৩ রানের ওপর ভর করে ১৯ তম ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।