স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২-১৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে উন্নয়নের বাজেট উল্লেখ করে বলেছেন, বাংলাদেশের ১৫-১৬ কোটি মানুষ। জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য বড় বাজেটই প্রয়োজন। অনেকে এ বাজেটকে বড় বললেও আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সন্ধ্যায় এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনা হয়। সূচনা বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দুর্নীতিবাজ, খুনি, জঙ্গিবাদী ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠী যাতে দেশের মানুষকে জিম্মি করতে না পারে সেজন্য দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এ দেশের মানুষ স্বস্তি চায়, শান্তি চায়। তার আর বোমার আওয়াজ শুনতে চায় না। একমাত্র আওয়ামী লীগই পারে জনগণকে শান্তি দিতে।
তিনি বলেন, মানুষের দ্রুত উন্নয়নের জন্য বড় বাজেট প্রয়োজন। আমার বিশ্বাস, আমরা এই বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারবো। জনগণ শুভ ফল পাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশ অস্ত্র চোরকারবারিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল দুর্নীতি। সরকার প্রধান থেকে শুরু করে তার দুই পুত্র দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল। তিনি বলেন, প্রতিটি বাজেটের লক্ষ্য শিক্ষার হার বাড়ানো, স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া, গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা, বেকারদের কর্মসংস্থান করা, জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন। শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী তেলের দাম না বাড়লে আমরা আরও ভাল করতে পারতাম। বাজেটের সমালোচনার জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ শতাংশ ঘাটতি নিয়েই বাজেট দিয়েছি। আগেও ৫ শতাংশ ঘাটতিই ছিল। সাধারণ মানুষ এই বাজেটে শুভ ফল পাবে। কিন্তু সবচেয়ে অখুশি বিরোধী দল। তারা এখন কিছু খেতে পারছে না। তারা যথেষ্ট খেয়েছে। যথেষ্ট পাচার করেছে। সুটকেস ভরে টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এখনও তা খেয়ে শেষ করতে পারছে না। শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্যুৎ ও কৃষিসহ মানুষের যেখানে প্রয়োজন সেখানে ভর্তুকি দিচ্ছি। বিদ্যুতে আগামী দিনে আর ভর্তুকি দিতে হবে না। আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি আগামী দিনে ভাল ফল পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশীয় শিল্পকে রক্ষা করা। এজন্য দেশীয় শিল্পকে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই আর সাহায্য নির্ভর না হতে। আমরা যেন বিদেশ নির্ভর না হই।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৈঠকে দলের কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।