বার্তা ৭১ ডট কমঃ কুমারী মেয়েদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করলে এইচআইভি থেকে মুক্ত হওয়া যাবে- এমন কুসংস্কার রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। ফলে এইচআইভি ও এইডস থেকে রক্ষা পেতে কুমারী মেয়েদের বাধ্য করা হচ্ছে বয়স্ক এইচআইভি আক্রান্ত পুরুষদের বিয়ে করার জন্য। এজন্য রাজি না হলে অপহরণের শিকার হচ্ছেন সেখানকার কুমারী মেয়েরা। গতকাল এ খবর দিয়ে ডেইলি মেইল জানায়, দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্বাঞ্চলীয় কেইপ অঞ্চলে এক অনুসন্ধানে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। এতে বলা হয়, ঝোসা উপজাতির ১২ বছরের শিশুকে পর্যন্ত এমন মারাত্মক বাল্য বিয়েতে বাধ্য করা হচ্ছে।
সিএনএনের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ ধরনের বিয়ের জন্য অপহরণকে বৈধতা দিতে উকুথওয়ালা ঐতিহ্যে অপহরণকে ‘কিডনাপের’ পরিবর্তে তুলে নেয় (টু পিক আপ), গ্রহণ করা (টু টেইক) ইত্যাদি শব্দে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বাবা-মার সম্মতিতে হচ্ছে এ ধরনের অপহরণ। সিএনএনে ‘উকুথওয়ালা-স্টোলেন ইনোসেন্স’ নামক এক ডকুমেন্টারিতে এগুলো তুলে ধরা হয়। বৌ কেনাবেচার এই প্রথার বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছেন ওই অঞ্চলের ওয়ার্ল্ড এইডস প্রোগ্রামের মাঠকর্মী নম্বাসা জুলুয়ে। তিনি বলেন, এখানে এমন কুসংস্কার রয়েছে যে যদি এইডস আক্রান্ত কোন পুরুষ কুমারী মেয়ের সঙ্গে ঘুমায় তবে সে আরোগ্য লাভ করবে। এ জন্য তারা কুমারী মেয়েদের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। আর এসব লোক তাদের স্ত্রীদেরও এইচআইভি আক্রান্ত করছে। জুলুয়ে জানান, আশার কথা হচ্ছে সেখানে একটা শরণার্থী ক্যাম্প রয়েছে যেন পালিয়ে আসা মেয়েরা পুনরায় সমাজে ফিরে আসতে পারে। স্থানীয় এনজিও কর্মীরাও নারীদের পরামর্শ দিচ্ছে, সহায়তা দিচ্ছে। তবে বিষয়টা কঠিন। কেননা এমতাবস্থায় অনেক পরিবার তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। জুলুয়ে বলেন, তাদের সচেতনতা তৈরি কাজ দিতে শুরু করেছে। গত বছর এমন অপহরণ ও অপ্রাপ্ত বয়স্কদের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের দায়ে ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
it;s so nice