দরপত্র পেতে আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে দেশের যোগাযোগ প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সড়ক ভবনে দুই পক্ষের সংঘর্ষে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদকসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে। ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করেছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
আহতদের মধ্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রচার সম্পাদক শামীম শাহরিয়ার (৩৫) এবং মসিউর রহমান রাজেশ (৩৫), রিপন (৩২), জাকির হোসেন (৪০) ও তৌহিদুল ইসলাম (৩৫) নামের আরো চারজনকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শামীম হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, রাজেশ, রিপন ও তৌহিদুল সড়ক ভবনের ঠিকাদার। আর জাকির হোসেন সড়ক ভবনের গাড়িচালক।
সরকার সমর্থক সংগঠনের এই নেতা বলেন, বিকাল ৪টার দিকে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটর সাইকেল নিয়ে ১৫/২০ জন যুবক সড়ক ভবনের ঢুকে তাদের দিকে এলোপাতাড়ি গুলি করে চলে যায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন তারা।
শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বার্তা৭১ডটকম কে বলেন, “আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আমরা। আজ সড়ক ভবনে কোনো টেন্ডার ছিল না বলে শুনেছি। তারপরও দুটি পক্ষ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।”
গোলাম আজমল তৌহিদ নামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক কর্মী হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, শ্রমিক লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মীদের মধ্যে সড়ক ভবনের কয়েকটি দরপত্র নিয়ে বিরোধ চলছে।
সড়ক ভবনে সরকার সমর্থক কর্মচারীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধ রয়েছে। তার জের ধরে এই ঘটনা ঘটতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন তৌহিদ।
হুমকি দেওয়ায় অভিযোগ এনে বাংলাদেশ সড়ক ও জনপদ ওর্য়াকশপ এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন গত ৩১ মে শাহবাগ একটি মামলা করেন, যার আসামি হলেন অফিস সহকারী (ঢাকা জোন) কামাল উদ্দিন খন্দকার ও চেইনম্যান ফজরুল রহমান।
বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামাল মঙ্গলবারের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন বলে তৌহিদের সন্দেহ।
এদিকে এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আলীকে প্রধান করে তিন সদস্যর কমিটি গঠন করেছে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের তথ্য কর্মকর্তা মো. আবু নাছের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, কমিটিকে আগামী ৩ দিনের মধ্যে সড়ক বিভাগ সচিব বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।