বার্তা ৭১ ডট কমঃ মিথ্যা মামলা দিয়ে নেতাদের জেলে পুরে বিরোধী দলের আন্দোলন বানচাল করার সরকারি কৌশল ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর শুক্রবার সকালে নিজ বাসভবনে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হরতালে গাড়ি পোড়ানো ও হাতবোমা বিস্ফোরণ মামলায় ফখরুলসহ শীর্ষ বিরোধী নেতারা বিভিন্ন কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিরোধী আন্দোলন দমাতে সরকার নেতা-কর্মীদের আটক করার যে কৌশল নিয়েছে জনগণ তা ভালভাবে নেয়নি।
তিনি বলেন, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীকে গুম করে সরকার যে রাজনীতি শুরু করেছে তার উদ্দেশ্য হচ্ছে বিরোধী দলকে নির্মূল করে দেয়া। কিন্তু জনগণ তা হতে দেবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ইলিয়াস আলী গুমের প্রতিবাদে ডাকা হরতালের সময় বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
তিনি বলেন, কারাগারে থেকে জামিন নিয়ে বেরিয়ে আসার সময় কয়েক জন নেতাকে আবারো কারাফটক থেকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে আবার অন্য একটা মামলা সাথে জড়ানো হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এফআইআর এ এসব নেতাদের নাম না থাকা সত্ত্বেও তাদের আটক করা হয়েছে। বিরোধী দলকে হয়রানি ও নির্মূল করতেই সরকার এসব অপকৌশল হাতে নিয়েছে।
আন্দোলন দমনে সরকারের অপচেষ্টা ব্যর্থ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আন্দোলন দমন এখন আর সম্ভব নয়। কারণ, জনগণ যখন কোনো আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করতে শুরু করে, তখন আর কোনো কিছুই তাকে বাধা দিতে পারে না।
শীর্ষ নেতারা জেলে থাকলেও নেতা-কর্মীদের মনোবল ভাঙ্গেনি দাবি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, ১১ জুনের মহাসমাবেশ প্রমাণ করেছে, জনগণের চাপে সরকার নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবায়কের দাবি মানতে বাধ্য হবে। কারণ জনগণ এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছে।
তিনি বলেন, বিরোধী দল বিশ্বাস করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনেই হবে। সরকার জনগণের চাপে শেষ পর্যন্ত এ পথে আসতে বাধ্য হবে।
ফখরুল বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের বিষয়টি সংবিধানে সংযোজনের জন্য সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে। দাবি আদায়ের জন্য সরকারকে সময় দেয়া তাদের আন্দোলনের কৌশল মাত্র।
এসময় রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সংসদে দেয়া বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বিষয়টি মানবিক দিক থেকে বিবেচনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান তিনি।