বার্তা ৭১ ডট কমঃ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে রাশিয়া ও পোল্যান্ডকে হারিয়ে সবার আগে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল গ্রিস ও চেক প্রজাতন্ত্র।
‘এ’ গ্রুপে শেষ রাউন্ডের খেলায় গ্রিস ও চেক প্রজাতন্ত্র জিতেছে। গ্রিস ১-০ গোলে হারিয়েছে রাশিয়াকে। একই ব্যবধানে চেক প্রজাতন্ত্র হারিয়েছে আয়োজক পোল্যান্ডকে। সবচেয়ে বেশি ছয় পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে উন্নীত হয় চেক প্রজাতন্ত্র। গ্রিস ও রাশিয়া সমান চার পয়েন্ট করে পেলেও গোল গড়ে এগিয়ে থেকে পরের রাউন্ডে খেলার সুযোগ পায় গ্রিস।
২০০৪ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়ন গ্রিস একপ্রকার অঘটন ঘটিয়েছে। রাশিয়ার মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারিয়ে দেওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। তারওপর প্রথম থেকে দারুণ আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে রাশিয়া। কিন্তু কি আর করা, ফুটবল গোলের খেলা, বিরতিতে যাওয়ার কয়েস সেকেন্ড আগে গিয়রগোস কারাগোনিসের গোলে এগিয়ে যায় গ্রিস।
সেই যে পিছিয়ে পড়ে রাশিয়া, আর খেলায় ফিরতে পারেনি। গোলের জন্য প্রাণপণ চেষ্ট করেও হোঁচট খেয়েছে গ্রিসের রক্ষণভাগে সামনে গিয়ে। প্রথম খেলায় চেক প্রজাতন্ত্রকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার দল রাশিয়া এখন ইউরোতে অতীত। আসলে দ্বিতীয় রাউন্ডে পোল্যান্ডের কাছে পয়েন্ট খোয়ানোই দলটির জন্য কাল হয়েছে। ওই ম্যাচ জিতে গেলে সবার আগে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যেতো রাশিয়া।
এদিকে পোল্যান্ডের বিপক্ষে খেলায় পরিষ্কার এগিয়ে ছিলো চেক প্রজাতন্ত্র। চেক দলটি অনেক গোল না পেলেও প্রতিপক্ষের ওপর চাপ তৈরি করতে পেরেছে। সোজা গোলের বল এলোপাতাড়ি না মারলে প্রথমার্ধে নিশ্চিত এগিয়ে যেতো চেক প্রজাতন্ত্র।
ডানে বাম করে পোল্যান্ডও কম গোল মিস করেনি। অনেক লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নিয়েছে তারা। বিরতির আগে এক কি দুইবার লক্ষ্যের দিকে বল গেলেও চেক গোলরক্ষকের হাত গলে তা জালে পৌঁছাতে পারেনি।
আসলে বৃষ্টি হওয়ায় খেলার গতি বেশি ছিলো। পিছল বলে শট নিয়েও লক্ষ্য ভেদ করা সম্ভব হচ্ছিলো না। প্রথামার্ধে সমস্যা একটু হলেও পরে তা ঠিক হয়ে যায়। পরের অর্ধে ইতিবাচক ফুটবল খেলে চেক প্রজাতন্ত্র। গোলের জন্য খেলতে খেলতে গোলও পেয়ে যায়। ৭২ মিনিটে পেট জিরাচেক দর্শনীয় গোল করেন। জিরাচেকের চেয়েও গোলের কৃতিত্ব মিলান বারসের বেশি। নিজেদের অর্ধ থেকে বল কেড়ে নিয়ে এক টানে দুই ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে ঢুকে পড়েন বিপদ সীমায়। বল পাস করে দেন জিরাচেকের কাছে। খুব দক্ষতার সঙ্গে বলের নিয়ন্ত্রণ রেখে একজনকে কাটিয়ে গোলপোস্টে তা পাঠিয়ে দেন জিরাচেক।
অলআউট খেলতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনে পোল্যান্ড। রক্ষণভাগে কড়া পাহাড়া থাকলে পাল্টা আক্রমণ থেকে কোন ভাবেই চেক প্রজাতন্ত্র গোল করতে পারতো না। শেষ ১৮ মিনিট অনেক চেষ্টা করেও গোল শোধ দিতে পারেনি পোলিশরা। চেক প্রজাতন্ত্রও পরে আর গোল পায়নি।
আরও বড় ব্যবধানে জিততে পারতো চেক প্রজাতন্ত্র। ৬৫ মিনিটে অল্পের জন্য গোল বঞ্চিত হয় দলটি। দুই মিনিটের ব্যবধানে দূর পাল্লার শটে প্রায় নিশানা ভেদ করে ফেলেছিলেন। কিন্তু প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক প্রস্তুত থাকায় ডান দিকে ঝাপিয়ে পড়ে বলের দখল নেন। এমন আরও অনেক পরিকল্পিত আক্রমণ কাজে লাগাতে পারেনি।