দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিএনপির হুমকির মধ্যে আওয়ামী লীগ মুখপাত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিএনপি সংসদে গিয়ে সংবিধান পরিবর্তন করলে তাতে তারা আপত্তি করবে না।
বুধবার ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আশরাফ বলেন, “দুই-তৃতীয়াংশ আসনে বিজয়ী হয়ে সংসদে আসুন। এরপর সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল করুন।”
সংবিধান পরিবর্তন ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল হবে না বলেও জানান তিনি।
ওই বক্তব্যের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, নির্দলীয় সরকারের বিধান তাদেরকেই (আওয়ামী লীগ) সংসদে পাস করতে হবে। নইলে আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায় করা হবে।
মহানগর নাট্যমঞ্চ মিলনায়তনে সভায় আশরাফ বিএনপিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিয়ে আদালতে যাওয়ারও পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট যেটিকে অবৈধ ঘোষণা করেছে তা ফিরিয়ে আনতে চাইলে কোর্টে যান। তাদের বলেন রায় অবৈধ। রায় রিভিউয়ের আবেদন করেন। আন্দোলনের ভয় দেখাবেন না। গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় রাজপথই শেষ কথা নয়।”
বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী আশরাফ আরো বলেন, “আন্দোলন করে, মানুষ হত্যা করে, ভাঙচুর করে দাবি আদায় করতে পারবেন না। কারণ আপনাদের এই দাবির সঙ্গে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই।”
বিএনপি নেতা ফখরুলকে উদ্দেশ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে যদি সংগ্রাম কমিটি করার ঘোষণা দেন তাহলে কোনো লাভ হবে না।”
বিরোধী দলের কর্মসূচি নিয়ে সরকারের মাথা ব্যাথা নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে যুদ্ধাপরাধী, গ্রেনেড হামলা মামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার বিচার শেষ করা হবে।
২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৬৩ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ।
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহউদ্দিন নাছিম, আহমদ হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সংসদ সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হারুন-অর-রশিদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউছার, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম, আওলাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।