আওয়ামী লীগের কাউন্সিল প্রসঙ্গে দলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেছেন, “আগামী নির্বাচনে জয়লাভের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সব সংগঠনের কাউন্সিল করার কাজ শুরু হয়েছে। কাউন্সিলের মাধ্যমে সংগঠনকে আরো গতিশীল করা হবে। তবে বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবেলার জন্য নয়, বার বার ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষে সংগঠন শক্তিশালী করা হবে।”
একইসঙ্গে মহানগরকে শক্তিশালী করার লক্ষে প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলের মাধ্যমে ঢেলে সাজানো হবে বলেও জানান তিনি।
বিএনপির সংগ্রাম কমিটি প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, “কাকে রক্ষার জন্য সংগ্রাম কমিটি করা হচ্ছে? যদি যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে হয়, তাহলে আওয়ামী লীগ থাকতে সংগ্রাম কমিটি কেন, কোনো কমিটি করেই লাভ হবে না।”
তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে পাকিস্তান রাজাকার-আলবদর বাহিনী সংগ্রাম কামিটি করেছিল। আজ আবার পাকিস্তানের আদলে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে সেই সংগ্রাম কমিটি গঠন করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই।”
আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল বলেন, “তিন বছরের বছরের মাথায় এই বর্ধিত সভার আয়োজন করায় কেন্দ্রীয় নেতাদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “আমাদের সরকারের আরো দেড় বছর সময় আছে। এক বছরের মধ্যে অসামপ্ত কাজ শেষ করতে হবে। এক বছরের মধ্যে শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শেষ করতে না পারলে তারা আরো ষড়যন্ত্র করবে।”
মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি বলেন, “ঢাকা শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডকে থানার মর্যাদা দিতে হবে। থানা কমিটি বিলুপ্ত করে ওয়ার্ড কমিটিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।”
এ সময় মহানগর নেতা বজলুর রহমান, আওলাদ হোসেন, হাজী সেলিম, মুকুল চৌধুরী, শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ তাদের বক্তৃতায় দ্রুত ঢাকা মহানগরের সম্মেলন করার তাগিদ দেন। এ সময় তারা নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে ঢাকা মহানগরকে আরো শক্তিশালী করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতি আহবান জানান।
বর্ধিত সভার শুরুতে ঢাকা মহানরগ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, “মহানগর আওয়ামী লীগ সম্মেলনের জন্য প্রস্তুত। কেন্দ্রীয় নেতারা তারিখ ঘোষণা করার সাত দিনের মধ্যেই সম্মেলন আয়োজন সম্ভব।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ অবশ্য তার বক্তৃতায় বলেছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন সম্পন্ন করতে।
বর্ধিত সভায় নগর নেতারা ছাড়াও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন এবং ভাতৃপ্রতীম সংগঠনের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।