বিএনপি যে কোনো ‘অগণতান্ত্রিক শক্তির’ বিরুদ্ধে থাকার ঘোষণা দিলেও আইনপ্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন, বিরোধী দল আসলে ‘তৃতীয় শক্তির’ উত্থানের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে চিরতরে হত্যা করতে চায়।
শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে কামরুল বলেন, “তাদের (বিএনপি) জন্ম সেনানিবাসে, তারা তৃতীয় শক্তির উত্থান চাইবে এটাই স্বাভাবিক। তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য একটি অপশক্তির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করা।”
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তৃতীয় কোনো পক্ষ রাজনৈতিক অচলাবস্থার সুযোগ নিতে চাইলে বিএনপি তা প্রতিহত করবে।
মির্জা ফখরুলের ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “যুদ্ধাপরাধের বিচার, একুশ অগাস্ট বোমা হামলার বিচার, ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার বিচারসহ সব বিচার বন্ধ করাই বিএনপির উদ্দেশ্য। তারা এ লক্ষ্যেই সামনে এগোচ্ছে।”
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের দাবি নিয়েও সমালোচনা করেন কামরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “কোনো মৃত ইস্যু নিয়ে আলোচনার সুযোগ নেই। তত্ত্বাবধায়ক চাচ্ছে কিছু বুদ্ধিজীবী ও জ্ঞানপাপী। তারা তত্ত্বাবধায়কের নামে গণতন্ত্রকে নস্যাত করতে চায়।”
তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে আন্দোলন বাদ দিয়ে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’ নিয়ে আলোচনার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিশ্ব কবিতাকণ্ঠ পরিষদ জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকার দরকার নাই, যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাই’ শিরোনামে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্রলির সদস্য মহিউদ্দিন খান আলমগীর, সতীশ চন্দ্র রায়, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শওকত মোমেন শাজাহান, স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল উপস্থিত ছিলেন।