দেশের জন্য কাজ করতে আগ্রহী ‘নতুন প্রজন্মের’ প্রতিনিধিদের আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
শনিবার দেশের অন্যতম পুরনো এ রাজনৈতিক দলের ৬৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর কর্মসূচি শুরুর পর এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের মুখপাত্র।
সকালে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের কার্যালয়গুলোতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচির শুরু হয়।
সকাল ৭টায় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভনেত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি প্রথমে মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে সরকার প্রধান হিসাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেন। এরপর আওয়ামী লীগ প্রধান হিসাবে দলীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর শেখ হাসিনা সেখানে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এ সময়, জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। সবশেষে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন তিনি। পরে, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায়।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন পুরান ঢাকার কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে আত্মপ্রকাশ ঘটে আওয়ামী লীগের। প্রায় দুই যুগ পর এ দলটির নেতৃত্বেই স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।
মুসলিম লীগের প্রগতিশীল একটি অংশের উদ্যোগে বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে গঠিত হয়েছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। প্রতিষ্ঠাকালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন দলটির সভাপতি। আর শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক ও শেখ মুজিবুর রহমান যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন।
আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে যাত্রা শুরু করলেও অসা¤প্রদায়িক চেতনায় ১৯৫৫ সালে কাউন্সিলে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেওয়া হয়। নতুন নাম হয়-‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’। স্বাধীনতার পর ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নাম নেয় দলটি।
আব্দুল হামিদ খান ভাসানী রাজনৈতিক মতভিন্নতার জন্য ১৯৫৭ সালে দল ছেড়ে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন করে জনগণের মধ্যে আস্থার স্থান তৈরি করে দলটি। ১৯৬৬ সালে ছয় দফা দেন বঙ্গবন্ধু, যাকে বাঙালির মুক্তির সনদ নামে অভিহিত করা হয়। ছয় দফার ভিত্তিতেই ৭০ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করে।
এরপর ১৯৭১ এ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর অভ্যূদয় ঘটে বাংলাদেশের।
আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন শেখ হাসিনা।