মাহফুজুর রহমানের টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের সম্প্রচার বন্ধের আহবান জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। একইসঙ্গে চ্যানেল দু’টিতে কোনো বিজ্ঞাপন না দিতেও সবার প্রতি আহবান জানান তারা।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার আগে সুপ্রিম কোর্টের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এই আহবান জানান বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী।
তিনি বলেন, “ক্যাবল অপারেটরের ভাইদের প্রতি আহবান, আপনারা এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের সম্প্রচার বন্ধ করে দিন। আর বিজ্ঞাপন দাতাদের বলছি, আপনারা চ্যানেল দু’টিকে কোনো বিজ্ঞাপন দিবেন না।”
“মাহফুজুর রহমান আত্মস্বীকৃত খুনি। তিনি বলেছেন, সাগর-রুনি হত্যার প্রমাণ তার কাছে আছে। মৃত্যুর পরও তাদের সম্পর্কে অশালীন বক্তব্য দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও কটূক্তি করেছেন তিনি। বিদেশে দেশের প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে এমন অপমানজনক কথা বলা অশোভনীয়।” বলেন রুহুল আমিন গাজী।
তিনি বলেন, “আমরা কেউ এটিএন’র টক-শো এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে যাবো না। শিল্পী ও রাজনীতিবিদদেরও আহবান জানাচ্ছি, আপনারাও তাদের কোনো অনুষ্ঠানে যাবেন না।”
মাহফুজুর রহমানকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, “অবিলম্বে তার সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হোক।”
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে পদযাত্রার আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএফইউজের আরেকাংশের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, “র্যাব মাহফুজুর রহমানকে জামাই আদরে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তদন্তের নামে এমন টালবাহানা আমাদের মধ্যে সন্দেহ-সংশয়ের সৃষ্টি করছে।”
“মাহফুজুর রহমান তার কিছু লোক লেলিয়ে দিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে বিবেধ সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছেন। তার চ্যানেলের কর্মীদের চাকরির ভয় দেখিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও কটূক্তি করেছেন তিনি। এজন্য আমরা তাকে ‘সাংবাদিকদের শত্রু’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছি। অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি।”, বলেন ইকবাল সোবহান।
তিনি বলেন, “আমরা শুনেছি আজ রাতে মাহফুজুর রহমান দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন। সে সুযোগ না দিয়ে অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানাচ্ছি।”
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে প্রধানমন্ত্রীর কারযালয় অভিমুখে পদযাত্রা করেন সাংবাদিকরা। দুপুর ১টা ১০মিনিটে সাংবাদিকরা সুপ্রিম কোর্টের গেইট পর্যন্ত পৌঁছলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত হন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
স্মারকলিপিতে সরকারের প্রতি ছয় দফা দাবি জানান সাংবাদিকরা।