বর্তমান সরকার ‘ক্ষমতায় থেকেই নির্বাচন করবে’ বলে আবারো জানালেন দফতরবিহীন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। সরকারের মেয়াদ শেষ হবার তিন মাস (৯০ দিন) আগে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে বলে নিজের আগের মন্তব্যের প্রতিধ্বনি করে সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘নির্বাচনের আগে ৯০ দিনে সংসদ অধিবেশন বসবে না। সুতরাং সংসদ সদস্যদের কোন অগ্রাধিকারও থাকছে না। রাষ্ট্রের নির্বাহী ক্ষমতা থাকবে মন্ত্রী পরিষদের কাছে।’’
নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতেও ক্ষমতায় থেকেই নির্বাচন দেয়া হয়। এতে তো তারা কোনো প্রশ্ন তোলে না। সরকার না, নির্বাচন করে নির্বাচন কমিশন। তাই ইসিকে শক্তিশালী করতে হবে।’’
সংবিধান সংশোধনে গঠিত কমিটির কাছে শুধুমাত্র রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম ও বিসমিলস্নাহ ছাড়া রাশেদ খান মেনন ও হাসানুর হক ইনু আর কোনো আপত্তি তুলেনি বলেও জানান তিনি।
নির্বাচন আয়োজনে সংবিধান সংশোধন করা দরকার বলে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের বক্তব্যের জবাবে সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘একটি দলের প্রধান হিসেবে তার চিন্তার স্বাধীনতা থাকবে। গণতান্ত্রিক সমাজে তা রোধ করা সম্ভব না। কিন্তু সংবিধান সংশোধনে গঠিত বিশেষ কমিটিতে মেনন এবং ইনু শুধু রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম ও বিসমিল্লাহ থাকার বিষয়েই আপত্তি করেছিলেন। এখন অন্যান্য সংশোধনের কথা আসবে কেন?’’ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘সংবিধান ও গণতন্ত্র সমুন্নত রাখা গণতান্ত্রিক সরকারের দায়িত্ব’ শীর্ষক এ সভায় আয়োজন করে বঙ্গবন্ধু মুক্তিযোদ্ধা লীগ নামে একটি সংগঠন।
আলোচনায় সুরঞ্জিত বলেন, ‘‘বিশেষ কমিটির কাছে তারা সমাবেশ করার অধিকার চেয়েছিলেন। এছাড়া সব বিষয়ে তারা একমত হয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে স্বাক্ষরও দিয়েছেন। তখন তারা কোন আপত্তি করেননি।’’
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জাল হোসেন চৌধুরী মায়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ ও ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সহিদুল ইসলাম মিলন।