বার্তা ৭১ ডট কমঃ গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়ে বিশ্বব্যাপী হৈ চৈ ফেলে দেওয়া ওয়েবসাইট উইকিলিকস এবার সিরিয়ার প্রায় ২৪ লাখ ই-মেইল ফাঁস করতে যাচ্ছে। এতে দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদেরও বিভিন্ন ই-মেইল রয়েছে।
লন্ডনের ফ্রন্টলাইন ক্লাবে উইকিলিকসের সারা হ্যারিসন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বলে এনডিটিভি জানায়। তবে তিনি বিস্তারিত আর কিছু জানাননি।
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের উদ্ধৃতি দিয়ে হ্যারিসন জানান, এসব ই-মেইল প্রকাশিত হলে সিরিয়ার পাশাপাশি বিদেশে অবস্থানরত প্রতিপক্ষরাও বিব্রতকর অবস্থার মুখোমুখি হবে।
বৃহস্পতিবার উইকিলিকস তার ওয়েবসাইটে কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে। তবে এসব তথ্যের উৎস সম্পর্কে কোনোকিছু জানায় নি প্রতিষ্ঠানটি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইসরায়েলি সংবাদপত্র ‘হারিত্জ’ এক প্রতিবেদনে দাবি করেছিল, অজ্ঞাত কারো মাধ্যমে সিরিয়ার সার্ভার থেকে ই-মেইল হ্যাক করা হচ্ছে।
মার্চে যুক্তরাজ্যের ‘গার্ডিয়ান’ সংবাদপত্র কিছু ই-মেইল প্রকাশ করে। সিরিয়ার বিদ্রোহীদের এর উৎস বলে তারা দাবি করেছিল। ওইসব ই-মেইলবার্তায় দাবি করা হয়েছে, “সিরিয়া যখন গৃহযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে তখন দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সুন্দরী স্ত্রী দামি জুতো কিনছেন।”
হ্যারিসন জানিয়েছে, শত শত ডোমেইন থেকে তারা ২০০৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছে, যেখানে সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের মন্ত্রণালয়ও রয়েছে। হ্যারিসন দাবি করেন, এসব তথ্য আসল।
যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য বেশকিছু দেশের লাখ লাখ গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে উইকিলিসক ও এর প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। কিন্তু এরপর থেকেই অ্যাসাঞ্জকে বিভিন্ন বিরূপ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হচ্ছে।
অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত এই কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ বর্তমানে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে অবস্থান করছেন।
বিভিন্ন মামলায় লন্ডনে শর্তসাপেক্ষে জামিন নিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু কথিত যৌন নির্যাতনের অভিযোগে সুইডেনে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। সুইডিশ কর্তৃপক্ষের হাতে তাকে হস্তান্তরের বিরুদ্ধে মামলায় হেরে গিয়ে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি।
অ্যাসাঞ্জের ধারণা, তাকে সুইডেনের হাতে হস্তান্তর করা হলে তারা তাকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দেবে। আর সেখানে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে।