আগামী জাতীয় নির্বাচনে ‘নাগরিক ঐক্যে’র ব্যানারে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সংগঠনটির আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। বলেছেন, বিভিন্ন জেলায় যারা আছেন তারা একটি তালিকা দেবেন। আমরা ৩০০ আসনে নাগরিক ঐক্য থেকে নির্বাচন করার কথা ভাবছি এখন। জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপি’র বাইরে জনগণের বিকল্প মঞ্চ হিসেবে তৃতীয় শক্তির উত্থান জরুরি মন্তব্য করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সময় এসেছে তৃতীয় শক্তির। জনগণ তৃতীয় শক্তি দেখতে চায়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃতীয় শক্তির উত্থান জরুরি। জনগণ এখন তৃতীয় শক্তিকে চায়। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেনি। অনেক মানুষই এখন এ দু’টি দলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই। বিএনপি যেমন বিভিন্ন সেক্টরে দলীয়করণ ও দুর্নীতি করেছে, আওয়ামী লীগও তেমন করেছে। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হাফিজ উদ্দিন খান যেহেতু তৃতীয় শক্তির কথা বলেছেন তাহলে তৃতীয় শক্তির উত্থান সত্যিই জরুরি। এ সময় মঞ্চের সামনে নাগরিক ঐক্য সংগঠনের লোকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মান্না জিজ্ঞেস করেন, আপনারা কি সবাই তৃতীয় শক্তি চান? সংগঠনটির উপস্থিত লোকজন তখন হাত তুলে সমর্থন জানায়। পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংক ও সরকারের মধ্যে বিনিময় হওয়া সব চিঠি জনসম্মুখে প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংক যেসব চিঠি বাংলাদেশকে দিয়েছে এবং বাংলাদেশ যেসব চিঠি বিশ্বব্যাংককে দিয়েছে- সেগুলো জনসম্মুখে প্রকাশ করুন। সরকারের পক্ষ থেকে শুধু দুর্নীতি হয়নি বললে জনগণ তা মেনে নেবে না। মান্না বলেন, পদ্মা সেতুর দুর্নীতি সারা দুনিয়ার কাছে বাংলাদেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। বিশ্বব্যাংক কি অভিযোগ করেছে তা আজ পর্যন্ত আমরা জানি না। তিনি আরও বলেন, সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডে কেউ কেউ অযাচিত কথা বলেছেন। এতে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। অথচ সরকার তার বিচার করছে না।