কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর লিবিয়ায় গতকাল ঐতিহাসিক নির্বাচন হয়েছে। ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর প্রথম মুক্ত ও অবাধ এ নির্বাচনে ভোট দিতে নাগরিকরা ভোটকেন্দ্রে যান উৎসবের আমেজে। এ নির্বাচনের মাধ্যমে কোন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা হবে না। এর মাধ্যমে একটি অস্থায়ী পার্লামেন্ট নির্বাচন করা হবে। সেই পার্লামেন্ট একটি মন্ত্রিসভা গঠন করে একজন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেবে। উৎসবের আয়োজনে ভোট হলেও অনেক এলাকায় সহিংসতার কারণে ভোটগ্রহণ বিঘ্নিত হয়েছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, ১৫০০ নির্বাচন কেন্দ্রের মধ্যে ১০১টি নির্বাচন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। এরপরেও ভোটদানের প্রবণতা বেশ ভাল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ১৯৬৯ সালে গাদ্দাফি ক্ষমতায় আসার পর এ পর্যন্ত প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট দেয়ার সুযোগ কেউই হাতছাড়া করতে চাননি। তাই গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরশাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর এদিনটি লিবীয়দের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন। নানা আশঙ্কার মধ্যেই শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় নির্বাচনী কেন্দ্রগুলো খোলা হয়। ভোটগ্রহণ চলে রাত ৮টা পর্যন্ত। লিবিয়ার জাতীয় অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের (এনটিসি) সরকার জনগণকে তাদের নাগরিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ করে দিতে শনিবার নির্বাচনের দিন এবং রোববার জাতীয় ছুটির দিন ঘোষণা করেছে। নির্বাচন কমিটি সূত্রে জানা গেছে, লিবিয়ার ২৮ লাখ নিবন্ধিত ভোটার শনিবার জেনারেল ন্যাশনাল কনফারেন্স (জিএনসি) বা পার্লামেন্টে ২০০ আসনের বিপরীতে প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন। এ নির্বাচিত সংসদের গঠিত সরকার বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের স্থলাভিষিক্ত হবে। লিবিয়াতে এখন প্রচণ্ড দাবদাহ। শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই অসহ্য গরমের মধ্যেও ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ সারি চোখে পড়ছে। ভোট কেন্দ্রে নারী ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়।