গাজীপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের পুত্র সোহেল তাজ-এর পদত্যাগপত্র অবশেষে গ্রহণ করলেন স্পিকার অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ। আগেরবারের পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় শনিবার সশরীরে হাজির হয়ে তা স্পিকারের হাতে জমা দিলে তা গৃহীত হয় বলে জানিয়েছে সংসদ সচিবালয়।
সোহেল তাজের ব্যক্তিগত সহকারি আবু কাওসার সন্ধ্যায় বার্তা৭১ডটকমকে জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে স্পিকার আব্দুল হামিদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় চার নেতার অন্যতম- সৈয়দ নজরুল ইসলামের পুত্র এবং বর্তমানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও এলজিআরডি মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
আবু কাউসার বলেন, “স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর সোহেল তাজ সরাসরি গণভবনে গেছেন।”
এদিকে সোহেল তাজের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে সংসদ সচিবালয়।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল ব্যক্তিগত সহকারির মাধ্যমে পদত্যাগপত্র জমা দেন সোহেল তাজ। তবে সশরীরে পদত্যাগপত্র জমা না দেওয়ায় তা গ্রহণ করা হয়নি।
২০০৮ সালের নির্বাচনে গাজীপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সোহেল তাজ।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন, ২০০৯ সালের ৩১ মে তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। তবে সে সময় রাষ্ট্রপতি তা ‘গ্রহণ করেননি’ বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
ওই পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার তিন বছর পরও সোহেল তাজের ব্যাংক হিসাবে প্রতিমন্ত্রীর বেতন-ভাতা জমা হতে থাকায় গত ১৭ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি চিঠি দিয়ে তা বন্ধ করতে বলার পাশাপাশি তিনি পদত্যাগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারিরও আবেদন জানান।
ওই চিঠিতে সোহেল তাজ বলেন, “২০০৯ সালের ৩১ মে বাংলাদেশ সংবিধানের ৫৮(ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর হাতে আমার পদত্যাগপত্র দিই। ১ জুন আবারো সেই পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাই। এরপর থেকে অদ্যাবধি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমি কোথাও কোনো কিছুতে স্বাক্ষর করিনি।” সেই সময় থেকে তার ব্যক্তিগত হিসাবে পাঠানো বেতন-ভাতার যাবতীয় অর্থ ফেরত নেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয় ওই চিঠিতে।