বার্তা ৭১ ডট কমঃ ব্লাউজ খুললে নাকি কপালও খোলে! কী অসম্ভব কথা। তবে শুধু কি কথা, এই কথাকে যে রীতিমতো কাজে লাগাচ্ছেন একতা কাপুর। সেই ক্যুইন কাপুর যার টিভি সোপের ঠেলায় সিরিয়াল বিজনেসে ওড়ে কোটি টাকার বুদবুদ আর পাবলিসিটিতে চমক-ই-চমক। এহেন একতা ম্যাডামই নাকি এখন মন দিয়েছেন ব্লাউজ খোলায়। আর ব্লাউজ খোলার সঙ্গে সঙ্গেই নাকি টুক করে কপালও খুলছে একতার। ছ্যা, ছ্যা, এক্কেবারে যাচ্ছেতাই কাণ্ড! শেষমেশ কপাল খোলার জন্য ব্লাউজ খোলা?
শুধু কি তাই? তাও যদি নিজের ব্লাউজ খুলতেন তিনি! মানে মানে? একতা আবার কার ব্লাউজে হাত দিলেন?
একতা রানি আসলে সোজা হাত মেরেছেন বিদ্যার ব্লাউজে। হ্যাঁ হ্যাঁ, ঠিক-ই ধরেছেন, বিদ্যা বালনের কথাই হচ্ছে। একেবারে যা-তা অবস্থা; মেয়ে হয়ে মেয়ের ওপর এরকম হাতাহাতি?
এবার বরং ভাবনায় রেশ টানুন। যা ভাবলেন এতক্ষণ, ব্যাপারটা ঠিক সেরকম নয়। বরং তার চেয়েও সরেস! খুলেই বলা যাক তাহলে!
আসল কথা হলো, এতদিন একতার কাছে ইংরেজি কে অক্ষরটিই ছিল লাকি। ‘ক’ বললেও ভুল বলা হবে না। এই ‘কে’ অক্ষরই একতা কাপুরকে দ্য একতা কাপুর বানিয়েছে। এই ‘কে’ নিয়েই তো একতার যত কেরদানি। কে ছাড়া কোনও অক্ষরই একতার তেমন মনে ধরত না। একথা খোদ স্বীকার করেন একতাই। তবে ইদানীং নাকি একতার কে ম্যাজিক আর কাজ করছে না। তার জায়গায় ‘ব’ অক্ষর এসে হাজির। তাহলে এবার থেকে কি একতার সব প্রোডাকশনের নাম শুরু হবে ‘ব’ দিয়ে?
এবারটি আর অক্ষরে আটকে থাকেননি একতা। ‘ব’ দিয়ে বানিয়ে ফেলেছেন একটা টুকটুকে লাল ব্লাউজ। আচ্ছা, এটাই তাহলে একতার ফ্যান্টাসি? তা, কীরকম লাল ব্লাউজ? আরে মশাই, বলিউড বাজারে তো এখন একটাই লাল ব্লাউজ। যার দিকে সব পুরুষের নজর আর সব নায়িকার হাত! ‘দ্য ডাটি পিকচার’ ছবির সেই লাল রঙের সিল্কের ব্লাউজ আর ব্লাউজের ভিতর সিল্করূপী বিদ্যা বালন। এই বিদ্যার চোটেই তো একতার টাকার ঝুলি ফুলেফেঁপে অস্থির। আর বিদ্যার খেলায় টাকা আসতেই টনক নড়ল একতার। এই লাল ব্লাউজ-ই নাকি তার ভাগ্য খুলবে! আর তাই তো দেরি না করেই একতা মাথা গলিয়ে ফেললেন বিদ্যার ব্লাউজে।
তবে শুধুই নিজের মাথা নয়, তার প্রযোজিত নতুন ছবি ‘কেয়া সুপার কুল হ্যায় হম’-এর মধ্যেও একতা ঢুকিয়ে নিলেন বিদ্যার সেই লাল ব্লাউজ। ভাই তুষার কাপুর আর রীতেশ দেশমুখ অভিনীত ‘কেয়া কুল হ্যায় হম’ ছবির এই সিক্যুয়েলে একতা কাপুর ছবিতে লাকি ব্লাউজের ম্যাজিক দেওয়ার জন্যই ব্লাউজকে দিয়েছেন এক গুরুত্বপূর্ণ রোল। এই ব্লাউজ নিয়ে কথা বলতে গেলেই একতা হয়ে উঠছেন ইমোশনাল। আর বলছেন, ‘বিদ্যা বালন হলো বলিউডের নতুন হিরো। যে টেক্কা দিতে পারে বলিউডের খানজাদেদের। তাই আমার প্রিয় বিদ্যাকে আমি বিদ্যা বালন খান নাম দিয়েছি। আর এবার সেই বিদ্যার হিট চরিত্র সিল্ক স্মিতার গা থেকে লাল ব্লাউজ খুলে নিয়ে আমার নতুন ছবিতে একটু বিদ্যা ফ্লেভার দিতে চলেছি। তাহলে এটাই কি একতার নতুন লাকি চার্ম?
উত্তরে একতা, ‘অবশ্যই, কারণ ডাটি পিকচার ছবিটি হিট হওয়ার ওয়ান অ্যান্ড ওনলি কারণ বিদ্যা বালন। বিদ্যাই এখন আমার লাকি মাসকট। কেয়া সুপার কুল হ্যায় হম ছবিতে বিদ্যা নেই, কিন্ত ওর পরা ব্লাউজ দিয়ে এই ছবিতে আমি সৌভাগ্যকে টেনে নিয়ে আসব। এর থেকে ভালো ট্রিবিউট আর কি হতে পারে?
একতার কথায়, ডাটি পিকচারের পপুলারিটিকে আবার তিনি ক্যাশ করতে চান এই ছবির মধ্যে দিয়ে। তাই ব্লাউজ নিয়ে তার এত আদিখ্যেতা। অন্যদিকে বিদ্যা এই ব্লাউজ কাণ্ডে খুব মজা পেয়েছেন। বিদ্যা বলেছেন, ‘একতা কাপুর জিনিয়াস। ও জানে কীভাবে ছবি চালাতে হয়। আর সিল্কের লাল ব্লাউজ? সত্যি, একতার মাথা দিয়ে অদ্ভুত প্ল্যানও বেরোয়। তবে মজাটা এখানেই যে, আমি না পাই, আমার ব্লাউজ আবার একতার ছবিতে সুযোগ পেয়েছে। হাসতে হাসতে বিদ্যা আরো বলেছেন, এর পরের ছবিতে একতা যেন বিদ্যার অন্য কোনো পোশাকের দিকে না তাকিয়ে বিদ্যাকেই হিরোইন হিসেবে নেন!
একতার ব্লাউজ কাব্য এখানেই শেষ নয়। ভবিষ্যতে একতা তার প্রোডাকশনে তৈরি হওয়া অন্য ছবিতেও যেনতেন প্রকারে নিয়ে আসবেন এই লাল ব্লাউজটিকে। প্ল্যান করে ফেলেছেন, ব্লাউজকে দিয়ে করাবেন গুরুত্বপূর্ণ সব রোল। এমনকি একতা এতটাই নাকি ব্লাউজ ফোবিয়ায় আক্রান্ত যে, স্ক্রিপ্ট রাইটারদের বলে দিয়েছেন লাল সিল্কের ব্লাউজ নিয়ে একটা গল্পও ফেঁদে ফেলতে। তিনি নাকি ব্লাউজকে নিয়ে পুরোদস্তুর এক কমেডি ফিল্ম বানাতে চলেছেন।
তা, ‘কে’ অক্ষরের পরে একতার এই লাকি ব্লাউজের ঠেলায় কতটা কপাল খুলবে, তা তো ‘কেয়া সুপার কুল হ্যায় হম’ ছবির ফলাফলই বলবে। কারণ ব্লাউজ তো না হয় নিজের কামাল দেখাল, কিন্ত ভাই তুষার কাপুর আর রীতেশ দেশমুখ যদি অভিনয়টা না দেখাতে পারেন? তাহলে শুধু ব্লাউজ দেখিয়ে কি আর ঝাঁপি ভরান যাবে? তবে সব শেষে কিন্তু এখন কথা হল একটাই। আর সে কথার মধ্যমণি হলেন বিদ্যা বালন। মেয়ের এলেম আছে বলতে হবে। ব্লাউজ পরে ছবিতে থাকলেও ছবি সুপারহিট, আর শুধু তার ব্লাউজ থাকলেও সেই ছবি খবরের শিরোনামে!