দোয়ারাবাজার উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ঝর্ণা রানী দাসকে সিলেট নগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে পুরুষ সঙ্গীসহ আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাত ১টার দিকে সিলেট শহরের জিন্দাবাজারস্থ শাহজাহান হোটেল থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছেন, দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের নিরঞ্জন দাসের কন্যা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেত্রী ঝর্ণা রানী দাস (৩০) এবং একই উপজেলার আজমপুর গ্রামের জবান আলীর পুত্র ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম (৩২)।
সূত্র জানায়, ভাইস চেয়ারম্যান ঝর্ণা রানী দাস ও শফিক নিজেদের প্রকৃত নাম গোপন রেখে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে গত রাত ৯টা ৪০ মিনিটে সিলেট শহরের শাহজাহান হোটেলে ওঠেন। হোটেলের চার তলায় ৩০৮ নং কক্ষ ভাড়া নেন তারা। হোটেল রেজিস্টারে ঝর্ণা রানী স্বামী মানিক দেব, ধিরারাই, ছাতক এবং নিজেকে গৃহিণী বলে উল্লেখ করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোতোয়ালি থানার একটি টহল দল রাত ১২টায় হোটেলের ওই কক্ষে অভিযান চালায়। প্রথমে ঝর্ণা নিজেকে ইউপি মেম্বার ও স্বামীর নাম শফিক বলে পুলিশকে জানায়। কিন্তু শফিকের পিতার নাম ও বাড়ির ঠিকানা বলতে পারেননি। কোতোয়ালি থানায় রাত সোয়া ১টায় তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। থানায় নিয়ে যাওয়ার পরই ঝর্ণা নিজেকে দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বলে জানান। ব্যবসায়ী শফিকও পুলিশকে তার পরিচয় নিশ্চিত করেন। পুলিশকে শফিক জানান, তাদের মধ্যে ভাল সম্পর্ক রয়েছে। এর সুবাদেই একত্রে রাত কাটাতে এসেছিলেন সিলেট শহরে। ঝর্ণা রানী পুলিশকে বলেন, সে খুব ভাল। আমরা একত্রে রাত কাটাতে এসেছিলাম। কিন্তু এভাবে ধরা পড়তে হবে ভাবিনি। থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে এ সময় দু’জনই কান্নায় ভেঙে পড়েন। ভবিষ্যতে এভাবে আর হোটেলে যাবেন না বলে অঙ্গীকার করে আকুতি জানান।
উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান মাস্টার জানান, একজন জনপ্রতিনিধিকে অপকর্মের দায়ে আটক করেছে পুলিশ- এটা গোটা উপজেলাবাসীর জন্য লজ্জাজনক। প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধি এবং জনগণের মুখে চুনকালি মাখিয়েছেন ঝর্ণা রানী। আমরা তার অপসারণ চাই।