বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষক সমিতি ১৬টি অনিয়মের জন্য দীর্ঘদিন আন্দোলন করছে। এবার তাদের আন্দোলনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে অন্য একটি পক্ষ। যারা উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের বক্তব্যগুলো তুলে ধরছেন। শিক্ষক সমিতি তিন দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। আর অন্যপক্ষ ‘বুয়েটের শিক্ষক-ছাত্র-কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম’ ব্যানারে গতকাল সমাবেশের মাধ্যমে তাদের উপস্থিতি জানান দেয়। দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলতে থাকলে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফোরামের সমাবেশের পর বুয়েট
ক্যাম্পাসে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ফোরামের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে বড় ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়নি। তবে ফোরাম সূত্রে জানা গেছে, তারা শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের পাশাপাশি বড় ধরনের কর্মসূচি দিয়ে চলমান কর্মসূচি ব্যর্থ করে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এর অংশ হিসেবে কয়েক দিন পর একই জায়গায় কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে বলেও জানা গেছে।
আর শিক্ষক সমিতি বলছে, তারা অহিংস ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছেন। এতে অন্যপক্ষও গণতান্ত্রিক উপায়ে তাদের বক্তব্য তুলে ধরতে পারে।
ঐক্য ফোরাম নেতা ও বুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি কামাল আহাম্মদ সমকালকে বলেন, আপাতত আমরা আমাদের সমাবেশ ও গণমাধ্যমে আমাদের বক্তব্যগুলো তুলে ধরব। পরে অন্য কর্মসূচি আসতেও পারে।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম সমকালকে বলেন, আমাদের সঙ্গে ৯৫ থেকে ৯৯ ভাগ শিক্ষক-শিক্ষার্থী আছেন। কয়েকজন দিয়ে তাদের আন্দোলন টিকবে না। ফোরামের পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হলে আপনারা কী করবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি। তবে তারা যদি সংঘাতের দিকে যেতে চায়, সে ক্ষেত্রে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব। ঐক্য ফোরামের গতকালের সমাবেশে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশই ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা যায়।
তবে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সাংগঠনিকভাবে কোনো কর্মসূচি নেই বলে জানিয়েছেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তন্ময়। তিনি বলেন, ‘আমরা ফোরামের মধ্য থেকে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষক সমিতির বক্তব্যের বাইরেও যে বক্তব্য আছে তা তুলে ধরব।’
এদিকে বিকেলে অন্য একটি পক্ষের সমাবেশের পর অবস্থানকারীদের মধ্যে নতুন করে আলোচনা চলছে। শিক্ষক সমিতি নেতারা শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের বক্তব্য তুলে ধরে অবস্থান কর্মসূচিতে তাদের অবস্থান কর্মসূচি দৃঢ় রাখার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।