রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে মাথায় গুলিবিদ্ধ সোহেল রানা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
সোমবার সকালে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়। কয়েক ঘণ্টা পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবার পেয়ে নিহত সোহেলের আত্মীয় ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার সমর্থক সংগঠন ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের পর সৃষ্ট উত্তেজনার জের ধরেই দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এরই এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন সোহেল রানা।
রাবির মাদারবখশ ও সোহরওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু হুসাইন বিপুর সমর্থক সহ-সভাপতি আখেরুজ্জামান তাকিমের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আহমেদ আলীর সমর্থক সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদ আল তুহিনের বাকবিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষের শুরু।
এক পর্যায়ে দুগ্রুপের ছাত্রলীগকর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাদার বখশ ও সোহরওয়ার্দী হলের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
রোববার রাতে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের সময় কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ এবং ১৫ থেকে ২০ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায় বলে শিক্ষার্থীরা জানায়। এসময় গুলিবিদ্ধ হন সোহেল।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হুসাইন বার্তা৭১ডটকমকে জানান,সোহেলের বাম চোখের ওপরে গুলি লাগে।