সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড নিয়ে লন্ডনে দেয়া বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান। সংবাদপত্রে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাহফুজুর রহমান বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান এটিএন বাংলার মেধাবী ও প্রতিশ্রুতিশীল সাংবাদিক মেহেরুন রুনি এবং তার স্বামী মাছরাঙা টেলিভিশনের মেধাবী সাংবাদিক সাগরের বহুল আলোচিত মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে লন্ডনে আমার দেয়া বক্তব্যের জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থনা ও দুঃখ প্রকাশ করছি এবং আমার বিতর্কিত মন্তব্যও আমি ইতিপূর্বে প্রত্যাহার করেছি। রুনি আমার কন্যাসম এবং আমার অফিসের সকলের প্রিয় সংবাদকর্মী ছিল। সাংবাদিক দম্পতি রুনি-সাগরের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে আমি ব্যক্তিগতভাবে, এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজের সকল সাংবাদিক-কলাকুশলী সবাই আন্তরিকভাবে শোকাহত। আমি এবং এটিএন বাংলার পরিবারের সকলে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত এবং অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করি। হত্যাকারীরা যেন কোনভাবে রেহাই না পায় সে জন্য আমি সরকার এবং তদন্তকারী সংস্থাসমূহকে বিশেষ করে অনুরোধ জানাই। এ ব্যাপারে যে কোন সহযোগিতা করার জন্য আমি এবং এটিএন বাংলা পরিবার বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তকারী সংস্থা র্যাবকে আমাদের কাছে থাকা তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করেছি। আমি আশা করি অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে সকল গুজব, সন্দেহ ও বিতর্কের অবসান হবে।
সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে দলমতনির্বিশেষে সারা দেশের সাংবাদিক সমাজ যে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করছে, সে জন্য আমি সাংবাদিক সমাজকে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানাই। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধভাবে ও আপসহীনভাবে এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সে জন্য তাদের আমি সাধুবাদ জানাচ্ছি। তারা আমার মন্তব্যের বিরুদ্ধে যে প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তা আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে অনুধাবন করছি। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিক সমাজের অনুভূতি এবং তাদের মর্যাদার উপর আমার মন্তব্য যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে সে জন্য আমি দুঃখিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। আমি এবং আমার প্রতিষ্ঠানের সকল সাংবাদিক ও কলাকুশলী সবাই ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজের সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের বিচার, সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং মুক্ত, স্বাধীন গণমাধ্যমের দাবিতে চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছি। আশা করি, আমার এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আমার এবং এটিএন পরিবারের সঙ্গে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের এবং ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজের সামপ্রতিক ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটবে।