জননন্দিত কথাসাহিত্যক হুমায়ূন আহমেদের মরদেহ রোববার আসার কথা প্রথমে বলা হলেও এখন তা একদিন পিছিয়ে গেছে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেন শনিবার সকালে (বাংলাদেশ সময়) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে সোমবার সকালে লেখকের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছবে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের উপদেষ্টা হুমায়ূনের মরদেহ ও স্বজনদের ফেরার ব্যবস্থা সরকারের পক্ষ থেকে করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, “মরদেহসহ লেখকের ঘনিষ্ঠজনদের টিকিটের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ সরকার। নিউইয়র্ক সময় শনিবার রাত ১১ টা ২০ মিনিটে অ্যামিরেটসের ফ্লাইট (নম্বর ২০৩) হুমায়ূনের কফিন নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে।”
ওই বিমানে ফিরছেন হুমায়ূনের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, দুই শিশু সন্তান নিষাদ ও নিনীত, ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন হক, শাশুড়ি তহুরা আলী, প্রকাশক মাজহারুল ইসলাম।
বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনের বেলভ্যু হাসপাতালে মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর নিউ ইয়র্ক সিটির জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে হুমায়ূনের প্রথম জানাজা হয়। প্রবাসের এই জানাজায় প্রায় ১০ হাজার শোকার্ত মানুষ অংশ নেয়।
জানাজা পড়ান জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম মির্জা আবু জাফর বেগ। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের, কন্সাল জেনারেল সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, লেখকের মামা ইব্রাহিম চৌধুরী, লেখকের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন আহমেদের ভগ্নিপতি জামাল আবেদীও ছিলেন জানাজায়।
এদিকে সোমবার লেখকের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে নামাজে জানাজা এবং শহীদ মিনারে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
ঈপ্সিত ‘চান্নিপসর রাইতে’ মৃত্যু না হলেও ‘দুধের চাদর গায়ে’ জড়িয়েই না ফেরার দেশে বসত গড়বেন নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। নিজের স্বপ্নের জগত গাজীপুরের ‘নুহাশ পল্লীতে’ সমাহিত করা হবে তাকে। জননন্দিত লেখক হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই কার্টুনিস্ট ও রম্য লেখক আহসান হাবিব এ কথা জানিয়েছেন।