বার্তা ৭১ ডট কমঃ পশ্চিম বাংলার পর এবার ভারতের তামিল নাড়ু রাজ্যের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আবারো এক ছাত্রকে প্রস্রাব খেতে বাধ্য করা হয়েছে।
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জি নিউজের খবরে বলা হয়, ক্লাস নাইনের এ ছাত্র প্রস্রাব করতে বাইরে যেতে চাইলে শিক্ষক তাকে প্রস্রাব খেতে বাধ্য করেন।
এরপর ওই ছাত্রকে পেরাম্বালুর কুমবাকোনাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জুলাই মাসের শুরুতে পশ্চিম বাংলার বিশ্ব-ভারতীর করবী ছাত্রী নিবাসের ক্লাস ফাইভের এক ছাত্রীকে প্রস্রাব খেতে বাধ্য করা হয়। রাতে বিছানায় প্রস্রাব করার দায়ে করবী ছাত্রী নিবাসের ক্লাস ফাইভের এক ছাত্রীকে প্রস্রাব খেতে বাধ্য করেন ওয়ার্ডেন উমা পোদ্দার। প্রস্রাব ভেজা বিছানায় লবণ ফেলে ওই ছাত্রীকে তা চাটতে বাধ্য করেন এ ওয়ার্ডেন।
গত বৃহস্পতিবার তামিল নাড়ুর ওই ছাত্রকে প্রস্রাব খেতে হোস্টেলে তাকে পেটান তারই তিন শিক্ষক।
এর পরের দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি জানাজানি হয়। ভীত হয়ে ছাত্রটি হোস্টেল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ছাত্রটির বয়স ১৪ বছর। কুমবাকোনামের কাছে ছোজাহান গ্রামের ডি দেজিংগুরুজন ও ডি পুনগতির ছেলে সে। পেরাম্বালুর জেলার আগারামসিগুরে একটি বেসরকারি স্কুলে সে পড়ে।
ছেলেটির পিতা ডি দেজিংগুরুজন কুমবাকোনাম হাসপাতালে পা ভেঙ্গে চিকিৎসার জন্যে ভর্তি হয়েছেন। সেখানেই তার ছেলে পিঠে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে এসে জানায়, তাকে তার তিন শিক্ষক প্রস্রাব খেতে বলে বেদম মারধর করেছে।
ছেলেটি এসময় তার শিক্ষকের নাম বলেন। তারা হলেন, শক্তিভেল, কারুপ্পাইয়া ও রাজা। ওই তিন শিক্ষকের কাছে প্রস্রাব করার জন্যে বাইরে যাবার অনুমতি চেয়েছিল সে।
ছেলেটি হোস্টেল থেকে নিখোঁজ হবার পর ওয়ার্ডেন তার মায়ের কাছে জানতে ছেয়েছে সে বাড়ি ফিরেছে কি না। তবে তাকে যে প্রস্রাব খাওয়ার জন্যে মারধর করা হয়েছে ওয়ার্ডেন তা জানায়নি।
ছেলেটিকে তার পিতার পাশেই একই হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ডি দেজিংগুরুজন বিষয়টি নিয়ে পুলিশকে জানালে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই স্কুল প্রশাসনের সাথে পুলিশ যোগাযোগ করেছে।
তবে স্কুল প্রশাসন ওই ছেলেটিকে প্রস্রাব খাওয়ানোর কথা অস্বীকার করেছে। এ নিয়ে একটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।