শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি আয়োজিত ‘শিক্ষাঙ্গনে সংকট’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, “সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন দেশপ্রেমিক নয়, বেহায়া। কারণ দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার দশ মাস পর তিনি পদত্যাগ করেছেন। আর সেই দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী সাফাই গাইছেন।”
তিনি আরো বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুর ঋণচুক্তি বাতিল করায় সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে, এর জন্য সরকারই দায়ী। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংককে দুর্নীতিবাজ বলছেন। যদি তারা দুর্নীতিবাজ হয় তাহলে কেন তাদের কাছ থেকে ঋণ নিতে আবারো ধর্না দেয়া হচ্ছে?”
শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতার জন্য সরকারকে দায়ী করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সরকারের চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে শিক্ষাঙ্গনে অস্থিরতা। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের দলীয় ও আত্মীয়করণের সঙ্গে ছাত্রলীগের অব্যাহত সন্ত্রাসের কারণে বুয়েটসহ বিভিন্ন্ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। পুরো শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রীর একগুয়েমির কারণে বুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠানের চলমান সমস্যার সমাধান হচ্ছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, “শিক্ষাক্ষেত্রে সংকট জাতীয় সংকটের অংশ। তাই শুধু শিক্ষাঙ্গন নয়, গোটা দেশের মানুষকে রক্ষা করার জন্য বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
বিএনপির শিক্ষা বিয়ষক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকনের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মাহবুব উল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক খন্দকার মোস্তাহিদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রো-ভিসি আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সদরুল আমিন প্রমুখ।