রাজধানীর গুলশানে জাতীয় পার্টির এমপি এমএ জব্বারকে ব্ল্যাকমেইল করেছে একটি চক্র। ওই চক্রের এক তরুণীর সঙ্গে জব্বারের নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ সময় আরও দুই তরুণী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এরপর চক্রটি এমপির নগ্ন ছবি জনসমক্ষে প্রকাশের ভয় দেখিয়ে তার কাছে এক দফায় ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। সাতক্ষীরা-২ আসনের এমপি জব্বারের সঙ্গে এমন ঘটনায় গতকাল রাজধানীর গুলশান থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত চার ব্যক্তিকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
মামলার বরাত দিয়ে পুলিশের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৬ মে ছয়জনের একটি চক্র
গুলশান-১-এ ১৩৫নং সড়কে জব্বার টাওয়ারের চতুর্থ তলায় প্রবেশ করে। ওই দলে ছিলেন সোহরাব হোসেন, মেহেরুন্নেসা, শাহনাজ জামান জুঁই, রাসেল, কোহিনূর আক্তার বৃষ্টি ও আসাদুজ্জামান। তারা পরিকল্পিতভাবে ২০ বছরের সুন্দরী বৃষ্টিকে এমপির কক্ষে প্রবেশ করিয়ে দেন। এরপর ওই চক্রের সদস্যরা ভয়ভীতি দেখিয়ে বৃষ্টির সঙ্গে এমপিকে আপত্তিকর ছবি তুলতে বাধ্য করেন। পরে আপত্তিকর ছবি প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে এমপির কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে চক্রটি। ওইদিনই তারা ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এরপর তারা পালিয়ে যান। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার ওই চক্রের সদস্যরা এমপির কাছ থেকে ফের ২ কোটি টাকা দাবি করেন। টাকা দেওয়া না হলে বৃষ্টির সঙ্গে আপত্তিকর ছবি প্রকাশের ভয় দেখানো হয়। এরপর জব্বার বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানান।
টেলিফোনে গত রাতে এমপি জব্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আসামি গ্রেফতারের কথা শুনেছি। রোজা রেখে ইফতার ও রাতের খাবার খেয়ে আমি শুয়ে পড়েছি। কাল (আজ) আপনাদের সব বলব।’
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সূত্র জানায়, এমপি জব্বারকে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে ডিবি চারজনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন_ সোহরাব হোসেন, মেহেরুন্নেসা, শাহনাজ জামান জুঁই ও বৃষ্টি। তবে এ ঘটনায় জড়িত আরও দু’জনকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, ঘটনার দিন চক্রটি গুলশান-১-এ জব্বার টাওয়ারে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সুন্দরী নারীর সঙ্গে এমপি জব্বারের নগ্ন ছবি ও ভিডিওচিত্র ধারণ করে। পরে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হয়। এ ঘটনায় গতকাল বিকেলে এমপি এমএ জব্বার বাদী হয়ে গুলশান থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলা নম্বর-৩৬। গ্রেফতারকৃতরা বর্তমানে ডিবি হেফাজতে রয়েছেন।