বার্তা ৭১ ডট কমঃ ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি থেকে চেন্নাইগামী তামিল নাড়ু এক্সপ্রেস ট্রেনে সোমবার সকালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৪৭ জন নিহত ও ট্রেনের বহু যাত্রী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে দুর্ঘটনার ফলে ওই রুটে সব ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ভারতীয় রেলওয়ের এডিসনাল ডিজি অগ্নিকাণ্ডে ৪৫ জনের প্রাণহানি ও বহু লোকের আহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। নিহতদের মধ্যে শুধু চার জনকে পাঞ্জাবের নাগরিক বলে শনাক্ত করা গেছে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, সোমবার ভোর ৪টা ২৮ মিনিটে ট্রেনটি অন্ধ্র প্রদেশের নিলোর স্টেশন পার হবার সময় ডেপুটি স্টেশন মাস্টার ট্রেনটির প্রথম শ্রেণীর কামরা এস-১১’তে (স্লিপার) আগুন জ্বলছে বলে খবর দেন। তার খবরের পরই ট্রেনটিকে জরুরি ভিত্তিতে থামানো হয় এবং সব যাত্রীকে নামিয়ে দেয়া হয়।
অন্যদিকে আগুনের ফলে প্রথম শ্রেণীর স্লিপিং কামরাটিতে প্রচণ্ড ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়ে ঘুমের মধ্যেই ২৫ জন মারা গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া আহতদের মধ্যেও বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
নিলোর জেলা কালেক্টর শ্রীধার জানান, ধারণা করা হচ্ছে ট্রেনটির টয়লেটের কাছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগেছে। আহতদের নিলোর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভারতের রেলবোর্ডের প্রাক্তন সদস্য সুভাষরঞ্জন ঠাকুর জানিয়েছেন, তামিল নাড়ু এক্সপ্রেস সুপারফাস্ট ট্রেন এবং চেন্নাই ও বিজয়ওয়াড়া স্টেশনের মধ্যে কোনো স্টপেজ নেই। কাজেই ভোরবেলায় ট্রেনটির গতি ছিল বেশি। যদি নিলোর স্টেশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট স্টেশন ম্যানেজারের নজরে ঘটনাটি না আসত তবে তা আরো ভয়াবহ রূপ নিত।
তিনি আরো জানান, বেশ কয়েক বছর আগে বিলাসপুর-চক্রধরপুর বিভাগে মুম্বাই মেলের একটি কামরায় আগুন লেগে প্রায় ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে এমন কামরায় আগুন লাগার ঘটনায় এত মানুষের মৃত্যু ভারতীয় রেলে ঘটেনি।