বার্তা ৭১ ডট কমঃ বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘‘ছাত্রদলের কমিটির বিষয়ে কারো হস্তক্ষেপ মানা হবে না। ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্ব রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম যোগ্যতার মাপকাঠিতে করা হবে। কমিটিতে মেধাবী, ত্যাগী ও যোগ্যতা সম্পন্নদের স্থান দেয়া হবে।’’
সোমবার রাতে বিএনপির গুলশান কার্যালয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটি নিয়ে ধারাবাহিক চতুর্থ ও শেষ বৈঠকে পর ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বৈঠকে খালেদা জিয়া ছাত্রদল নেতাদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এখানো কোনো কিছু ঘটলে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতেও ফলাও করে প্রচার করা হয়।”
তিনি বলেন, “তারেক রহমান দীর্ঘদিন দেশের বাইরে। তাই তারেক রহমান কমিটির বিষয়ে কিছু বলবেন না। তবে কমিটি দেবার আগে তার সঙ্গে আলোচনা করা হবে। যে কমিটি দেয়া হবে সেই কমিটির নেতৃত্ব মেনে নিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘কমিটির বিষয়ে অমুক ভাই তমুক ভাইয়ের বাসায় যাবে না। সবার বিষয়ে আমার কাছে তথ্য আছে। আগামীদিনের আন্দোলন জোরদার করেতে ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ পদে সাহসীদের স্থান দেয়া হবে। আর আন্দোলনকে জোরদার করতে প্রথমে ছাত্রদল ও পরে যুবদলে পরিবর্তন হবে।’’
সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় গুলশান কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়ে তা চলে রাত দেড়টা পর্যন্ত। ধারাবাহিকভাবে ছাত্রদল নেতাদের অভিমত শুনার পর খালেদা জিয়া আধা ঘণ্টা বক্তৃতা করেন।
ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে গত ১৯ জুলাই প্রথম বৈঠক করেন খালেদা জিয়া। ওই বৈঠককের পর আরো দুটি বৈঠক করেন। সোমবার রাতে তিনি ফের বৈঠকে বসেন।
বৈঠকে বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমসহ কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ছাত্রদলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি নিয়ে গত ১৯ জুলাই রাত সাড়ে ৯ টা থেকে ১ পর্যন্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ২৮ জুলাই রাত সাড়ে ১০ টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বক্তব্যে দেয়া অধিকাংশ নেতারা তরুণ নেতৃত্বের মাধ্যমে ছাত্রদলের নতুন কমিটির পক্ষে অভিমত দেন। আবার কয়েকজন সিনিয়র-জুনিয়র সমন্বয়ে কমিটি দেবার পক্ষেও মত দেন।