৭ অগাস্ট চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরের দ্বিতীয় প্রজন্মের (টু-জি) লাইসেন্স নবায়ন হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি লাইসেন্স নেওয়ার জন্য গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও সিটিসেলকে চিঠি দিয়েছে।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান জিয়া আহমেদ বৃহস্পতিবার বার্তা ৭১ ডট কমকে বলেন, “গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি ও সিটিসেলকে লাইসেন্স নেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে নবায়নকৃত লাইসেন্স নিতে আগামী ৭ অগাস্ট অপারেটরদের উপযুক্ত প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।”
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী এ চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
গত বছর ১১ সেপ্টেম্বর লাইসেন্স নবায়য়ের চূড়ান্ত নীতিমালা প্রকাশ করে বিটিআরসি। নভেম্বরে গ্রামীণফোনসহ চারটি মোবাইল অপারেটরের টু-জি লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়।
এরপর গত ১০ নভেম্বরের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বিটিআরসির পক্ষ থেকে অপারেটরদের লাইসেন্স দেওয়ার কথা ছিল। তবে লাইসেন্স নবায়ন নিয়ে বিটিআরসি ও অপারেটরদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিলে তা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। বর্তমানে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন আছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ২৬ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মোবাইল ফোন অপারেটর প্রতিনিধি, নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি ও এনবিআর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সেদিনই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, অগাস্টের মধ্যে চারটি মোবাইল ফোন অপাটেরকে দ্বিতীয় প্রজন্মের লাইসেন্স নবায়ন করা হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর ১ অগাস্ট বুধবার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নাফিউল হাসান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিটিআরসিকে টু-জি লাইসেন্স নবায়নের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
টু-জি লাইসেন্স নবায়ন এবং দেনা-পাওনা পরিশোধের বিষয়ে চার অপারেটর ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা রূপরেখার খসড়া উপস্থাপন করা হয় ওই চিঠিতে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিটিআরসি চেয়ারম্যান বার্তা ৭১ ডট কমকে বলেন, সমঝোতার খসড়া বিটিআরসি পর্যালোচনা করছে। পর্যালোচনার পরই এ বিষয়ে বিটিআরসি সিদ্ধান্ত নেবে।
খসড়া সমঝোতা রূপরেখায় বিটিআরসি, জাতীয় রাজস্ব রোর্ড এবং বিটিআরসি একটি সমঝোতায় স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে। গত ২৬ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ে লাইসেন্স নবায়নে যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল মূলত সে বিষয়গুলোসহ মোট ১২টি শর্ত রয়েছে খসড়া সমঝোতায়।
লাইসেন্স নবায়ন ও তরঙ্গ বরাদ্দের সব টাকা পরিশোধ না করলেও কেন অপারেটরদের লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে, জানতে চাইলে জিয়া আহমেদ বলেন, লাইসেন্স নবায়নের পরই অপারেটরদের আইন অনুযায়ী নবায়নের টাকা জমা দিতে হবে।
গত নভেম্বরে চার অপারেটর লাইসেন্স নবায়ন ও তরঙ্গ বরাদ্দের প্রথম কিস্তির টাকা জমা দেয়। এর পর গত ১ অগাস্ট দ্বিতীয় কিস্তির টাকা জমা দেয়ার কথা থাকলেও সে সময় এক মাস বৃদ্ধি করে বিটিআরসি।
লাইসেন্স নবায়নের জন্য চার অপারেটরকে প্রায় ৭ হাজার ৫শত ৬৩ কোটি টাকা ফি দিতে হচ্ছে।
দেশে বর্তমানে পাঁচটি জিএসএম ও একটি সিডিএমএ অপারেটর সেবা দিচ্ছে। বিটিআরসির হিসাবে বর্তমানে প্রায় ৯ কোটির বেশি লোক মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন।