গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সুবিধা ও আয়ের তথ্য নেয়া ‘বিভিন্ন সুবিধার তথ্য’ জানতে চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিভাগের কাছে পৃথক দুটি চিঠি দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। রাতে এ দুটি চিঠির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেইন ভুঁইয়া।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক থাকাকালে ড. ইউনূস ‘ওয়েজ আর্নার’ হতে পারেন কি না এবং ওয়েজ আর্নার হয়ে থাকলে তিনি বিদেশ থেকে আনা এই টাকার বিপরীতে কী পরিমান কর অব্যাহতি নিয়েছেন তা জানতে চাওয়া হয়েছে এনবিআরের কাছে। এই তথ্য দ্রুত প্রতিবেদন আকারে পাঠানোরও তাগিদ দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ড. ইউনূস ৬০ বছর বয়সসীমার বেশি সময় এমডি পদে থাকা বৈধ কি না তা জানতে চাওয়া হয়েছে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের কাছে। সেই সাথে ৬০ বছরের বেশি কতদিন ছিলেন এবং এর বিপরীতে কত টাকা বেতন-ভাতা নিয়েছেন তা ও জানতে চাওয়া হয়েছে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলে প্রতিবেদন তৈরি করে তা শিগগিরই তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর ওপর ভিত্তি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানা গেছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ হিসাব জানার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া সেদিন ‘গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশ (সংশোধন) ২০১২’ এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। সংশোধনী অনুযায়ী এমডি নিয়োগে ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের বিদ্যমান ক্ষমতা আর থাকছে না। নিয়োগের ক্ষমতা পাচ্ছেন ব্যাংকটির বর্তমান সরকার নিযুক্ত চেয়ারম্যানের।