গ্রামীণ ব্যাংক ও এই ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যাপারে সরকারের সর্বসাম্প্রতিক তৎপরতা’র বিরোধিতা করেছেন অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান। এসব উদ্যোগের মাধ্যমে ‘৮৫ লাখ গ্রামীণ মহিলাকে গ্রামীণব্যাংকের মালিকানা থেকে বঞ্চিত করা’ হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। বৃহস্পতিবার এ দাবি করে ঢাকায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, গ্রামীণ ব্যাংকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হচ্ছে, সেসবের কোনো ভিত্তি নেই।
ড. আকবর আলি খান বলেন, ‘‘গ্রামীণব্যাংকের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হচ্ছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। যারা বলে গ্রামীণব্যাংক খারাপ, সুদের হার বেশি, তারা প্রতিষ্ঠানটিকে এবং প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের অপমান করছেন। এর মাধ্যমে দেশের সাধারণ মানুষকেও অপমান করছেন।’’
বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ৮৫ লাখ গ্রামীণ মহিলাকে গ্রামীণব্যাংকের মালিকানা থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদ ও আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
গ্রামীণব্যাংক রক্ষা ও দুর্যোগ প্রতিরোধকেন্দ্র এই সভার আয়োজন করে। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত এম. মুনির-উজ-জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নারী আন্দোলন সিডা’র পরিচালক সালমা খান ও গ্রামীণব্যাংকের পরিচালক তাহসিনা এবং রোজিনা বেগম।
‘গ্রামীণ ব্যাংককে তার নিজের মতো চলতে দিতে’ সরকারকে আহ্বান জানিয়ে ড. আকবর আলি খান বলেন, “এর ৯৭ ভাগ শেয়ার ব্যাংকের প্রতিনিধিদের এবং মাত্র ৩ ভাগ সরকারের। এই ৩ ভাগ শেয়ারও ব্যাংকই সরকারকে দিয়েছে। ব্যাংকটি পরিচালনার জন্য নিজেদের প্রতিনিধির মাধ্যমে চলতে না দিলে প্রতিষ্ঠানটি অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।”
তিনি বলেন, “ব্যাংকটির অর্থনীতির দিক থেকে কোনো সমস্যা দেখতে পাই না। ড. ইউনূসের সঙ্গে রাজনৈতিক ব্যাপার থাকতে পারে। কিন্তু গ্রামীণব্যাংকের দরিদ্র সদস্যদের তো কোনো দোষ নেই।”