ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শনিবারের শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৫০ ছাড়িয়েছে। সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২২০ বলে জানিয়েছে বিবিসি। এছাড়া আহতের সংখ্যা এক হাজার ৮০০ ছাড়িয়েছে বলেও জানা গেছে।
উদ্ধারকর্মীরা তাবরিজের ধ্বংস হয়ে যাওয়া গ্রামগুলোতে উদ্ধার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া খোলা ময়দানে এবং সরকারের পক্ষ থেকে খোলা জরুরি আশ্রয় শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। দেশটির কিছু ত্রাণ সংস্থা আশ্রয় শিবিরে তাবু, রুটি এবং পানীয় জল দিয়ে সহায়তা করছে।
উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছে ভূমিকম্পে অধিকাংশ গ্রামের রাস্তাঘাট ও টেলিফোন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় তাদের উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
এর আগে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজের কাছাকাছি আহার-এ শনিবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫৩ মিনিটে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ছয়টি গ্রামের সব ঘর-বাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন ইরানের রাষ্ট্রীয় জরুরি কেন্দ্রের প্রধান গোলামরেজা মাসুমি।
তিনি আরো জানান, ভূমিকম্পে আহতদের তাবরিজ ও আরদেবিল শহরের চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এদিকে, ইরানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার উপ-প্রধান মোর্তেজা আকবরপুর বলেছেন, ভূমিকম্পের পর ওই এলাকায় ছোট-বড় বিভিন্ন মাত্রার ১১টি আফটার শক বা ভূমিকম্প পরবর্তী ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্প দূর্গত এলাকায় এরইমধ্যে কয়েকশ ত্রাণকর্মী পাঠানো হয়েছে বলে ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির উদ্ধার ও ত্রাণ সংস্থার প্রধান মাহমুদ মোজাফফার জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, এ ভূমিকম্পে আহার, ভারজাগান, মেহরাবান এবং হারিস জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এর আগে ২০০৩ সালের ডিসেম্বর মাসে দক্ষিণ ইরানের বাম শহরে ৬.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৩১ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। সূত্র: এপি/বিবিসি