নেপালের ভাদ্রাপুর জেল থেকে পালিয়েছে বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন। বৃহস্পতিবার রাতে সে জেল থেকে পালিয়ে গেছে বলে ভারতের গোয়েন্দা সূত্রগুলো তাদের গোপন রিপোর্টে উল্লেখ করেছে। কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস সূত্র এই জেল পালানোর খবরের সত্যতা স্বীকার করেনি।
ঢাকায় প্রাপ্ত বিশেষ সূত্র জানায়, নেপাল পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, ২০০৯ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের দুই কর্মকর্তা সুব্রত বাইনকে পিছু ধাওয়া করলে সে নেপাল সীমান্তের কাকরভিটা শহরে ঢুকে পড়ে। এরপরই স্থানীয় পুলিশ সুব্রতসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের এক সপ্তাহ পর নেপালের ভারতীয় দূতাবাসের হস্তক্ষেপে ছাড়া পায় কলকাতা পুলিশের দুই কর্মকর্তা। সুব্রত বাইনকে প্রকাশ্যে অশোভন আচরণের (নুইসেন্স ইন পাবলিক) অভিযোগে পূর্ব নেপালের ভাদ্রপুর জেলে বন্দি রাখা হয়। পূর্ব কর্মকা- সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকায় সুব্রতকে একজন কালোবাজারি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ধরা পড়ে সুব্রত নিজের নাম পরিবর্তন করে নাম আসিফ আলী আনসারী বলে জানায়। নেপাল পুলিশের ধারণা, ঘুষের অর্থ নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় তাকে ধাওয়া করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে নেপালের বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে নেপাল পুলিশ জানতে পারে আসিফ আলী আনসারী নামে যে ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে সে বাংলাদেশের শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন। এরপর তার বিরুদ্ধে অবৈধ অবস্থান ও অবৈধভাবে মুদ্রা ব্যবহারের অভিযোগে একটি মামলা হয়। এই মামলায় সুব্রত ভাদ্রপুর জেলে বন্দি ছিল।
নেপাল পুলিশের সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে সুব্রত বাইনকে কারাগারের সেলের ভেতর খুঁজে পাওয়া যায়নি। কীভাবে পালালো তা নিয়ে কারাগারের ভেতর সৃষ্টি হয় তোলপাড়। পুলিশ দ্রুত কাকরভিটা সীমান্ত এলাকার মাধ্যমে ভারতীয় পয়েন্টে সুব্রত পালিয়ে যাওয়ার খবরটি জানিয়ে দেয়।
ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র জানায়, সুব্রত বাইন যাতে ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে ঢুকতে না পারে সেজন্য বিএসএফকে এলার্ট করে দেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশে ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম ঘোষিত হয়। এদের ধরিয়ে দিতে পারলে ১ লাখ টাকা করে পুরস্কারও ঘোষণা দেয়া হয়।