ঢাকা, ২৭ আগস্ট : বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিষয়ে দেয়া স্পিকারের রুলিং আইনত ভিত্তিহীন ও অকার্যকর বলে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের এক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে।।
বিভাগে আগে নিষ্পত্তিকৃত আবেদনের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, রুলিংটি অবৈধ হবার ফলে সংশ্লিষ্ট বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সংসদের রুলিংয়ের মাধ্যমে প্রধান বিচারপতিকে স্পিকারের ‘অনুরোধ’-এর ও কোনো কার্যকারিতা নেই।
সোমবার দুপুরে বিচারক হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও এবিএম আলতাফ হোসেনের যুগ্ম বেঞ্চ পূর্ণাঙ্গভাবে এ লিখিত পর্যবেক্ষণ দেয়।
হাই কোর্টের এক বিচারপতি সংবিধানের ৭৮(১) অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছেন উল্লেখ করে ১৮ জুন দেওয়া স্পিকারের রুলিং কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে করা রিট আবেদনের রায়ের পর্যবেক্ষণে এ কথা বলা হয়।
২৪ জুলাই শুনানি শেষে হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও এ বি এম আলতাফ হোসেনের যুগ্ম বেঞ্চ আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দেন। আদালত বলেন, আবেদন নিষ্পত্তি করলেও কোনো রুল দেয়া হবে না, পর্যবেক্ষণ দেয়া হবে। সোমবার সেই পর্যবেক্ষণ দিলেন আদালত।
সুপ্রিম কোর্টের জমি নিয়ে হাই কোর্টের আদেশের বিষয় উত্থাপিত হলে স্পিকার আবদুল হামিদ গত ২৯ মে সংসদে বলেছিলেন, দেশের মানুষের বিচারের ক্ষেত্রে বছরের পর বছর লেগে যাবে আর নিজেদের বিষয় বলে বিচার বিভাগ ঝটপট সিদ্ধান্ত দেবেন, এটি ভালো দেখায় না। আদালতের রায়ে ক্ষুব্ধ হলে জনগণ বিচার বিভাগের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে।
পরে ৫ জুন হাই কোর্ট বিভাগের বিচারক এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ স্পিকারের এ বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন। সংসদে স্পিকার আবদুল হামিদের দেয়া বক্তব্যকে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক হিসেবে অভিহিত করে তার নেতৃত্ব থাকা হাই কোর্ট বেঞ্চ বলেন, এটা হলো রাষ্ট্রদ্রোহিতা। তার বক্তব্য আদালত অবমাননাকর। ওই পদে থাকার অধিকার তার নেই।
বিচারপতির ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ জুন স্পিকার আবদুল হামিদ রুলিং দেন। রুলিং-এ বিচাররকের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি প্রত্যাহারের জন্য সংসদ সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান। এ বিচারকের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার ভার প্রধান বিচারপতির ওপর ছেড়ে দেন স্পিকার।