কোম্পানি আইন সংশোধন করলে এর অপব্যবহারের আশঙ্কা রয়েছে স্বীকার করে বাণিজ্য সচিব গোলাম হোসেন বলেছেন, প্রয়োজনে বর্তমানে প্রচলিত আইনেই ডেসটিনি গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রশাসক নিয়োগের চিন্তা করছে সরকার।
মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্য সচিব এসব তথ্য জানান।
তিনি আরো জানান, “প্রচলিত আইনে সম্ভব না হলে আগামী বৃহস্পতিবার কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ এবং ৩০ অক্টোবর কোম্পানি আইন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে তাদের মতামত নিয়ে আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে আইনের সংশোধনীতে। এ ব্যাপারে যে দুজন আইনজীবীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে তারা হলেন ব্যারিস্টার এম জহির ও ব্যারিস্টার তানজিম।”
এসব প্রক্রিয়া শেষ করে আইন সংশোধন শেষ করতে কমপক্ষে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগতে পারে। এসব প্রক্রিয়া শেষেই ডেসটিনি গ্রুপে প্রশাসক নিয়োগ করা হতে পারে বলে জানান বাণিজ্য সচিব গোলাম।
সচিব বলেন, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে কোম্পানি আইন সংশোধনের প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্যই উপস্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু এর রাজনৈতিক অপব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে মন্ত্রিসভা একমত না হওয়ায় এটি নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানা গেছে, মন্ত্রিসভা আইনের সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করার আগে আইনজ্ঞ এবং কোম্পানি আইন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মতামত নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। তাদের সঙ্গে আলোচনার পর এটি আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের জন্য পাঠানো হবে। তাদের অনুমোদনের পর এটি পাঠানো হবে মন্ত্রিসভার চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য। এরপরই প্রশাসক নিয়োগ করা হবে।
তিনি বলেন, সরকার চায় যত দ্রুত সম্ভব প্রশাসক নিয়োগ করে প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মরত কর্মীদের বেতন-ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে। এজন্য প্রয়োজনে প্রচলিত আইনেই প্রশাসক নিয়োগের সম্ভাবনাগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা নেওয়ার বিষয়টিও ভেবে দেখা হচ্ছে।
মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত কোম্পানি আইনের সংশোধনীতে প্রশাসকের দায়মুক্তি দেওয়ার গুঞ্জন সম্পর্কে তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে এ বিষয়টি ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন হয় আইন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবটি। সেখানে দায়মুক্তির বিষয়টি নেই। তাই দায়মুক্তি দেওয়া হচ্ছে বলে প্রকাশিত সংবাদটিও তথ্যভিত্তিক নয়।
এমএলএম আইন অনুযায়ী ডেসটিনিতে প্রশাসক নিয়োগের সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে সচিব বলেন, এ আইন অনুযায়ী প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া যেত। কিন্তু এ আইনটি বর্তমানে যে অবস্থায়েআছে, তাতে তা চূড়ান্ত হতেই আরো সময় লাগবে। কিন্তু প্রশাসক নিয়োগের বিষয়টি দ্রুত শেষ করতে চায় সরকার। তাই এ আইনে প্রশাসক নিয়োগ সম্ভব হবে না।