ইরান এই প্রথমবারের মতো সাইবার মহড়া চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইরানে আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে বেসামরিক প্রতিরক্ষা সপ্তাহ পালন করা হবে; তার আগে এ মহড়ার ঘোষণা দেয়া হলো।
ইরানের বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম রেজা জালালি এক সংবাদ সম্মলনে এ ঘোষণা দেন। তিনি জানান, “আগামী সপ্তাহে ইরানে সাইবার মহড়া চালানো হবে। এ মহড়ার মাধ্যমে দেশের পাঁচ/ ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সাইবার অবকাঠামো পরীক্ষা করে দেখা হবে।” এর আগে, ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো এ ধরনের মহড়া চালিয়েছে তবে, ইরান এই প্রথম এ জাতীয় মহড়া চালাতে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
গত মাসের গোড়ার দিকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম রেজা জালালি ইরানের ইংরেজি নিউজ চ্যানেল প্রেসটিভিকে বলেছেন, সাইবার হামলা প্রতিহত করার মতো শক্তিশালী অবকাঠামো তৈরি করেছে ইরান।
গত জুনে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট খবর দিয়েছে যে, আমেরিকা ও ইসরাইল ইরানে সাইবার হামলা চালানোর জন্য যৌথভাবে ‘ফ্লেম’ নামের একটি কম্পিউটার ভাইরাস তৈরি করেছে। ইরানের কম্পিউটার নেটওয়ার্কে গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে আমেরিকায় তথ্য পাচার এবং সে তথ্যের ভিত্তিতে আক্রমণাত্মক ভাইরাস তৈরি করার লক্ষ্যে ‘ফ্লেম’ তৈরি করা হয়।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ‘স্টুক্সনেট’ ভাইরাস দিয়ে ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০১১ সালে ইরানের বুশেহর ও নাতাঞ্জ পরমাণু স্থাপনায় কয়েকদফা সাইবার হামলা হয়। এরমধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা চালানো হয় ‘স্টুক্সনেট’ কম্পিউটার ভাইরাস দিয়ে। এ দু’টি স্থাপনা ধ্বংস করে দেয়ার মাধ্যমে ইরানের পরমাণু ততপরতায় বিঘ্ন সৃষ্টি করাই ছিল ওই সাইবার হামলার মূল উদ্দেশ্য।
এ ধরনের সাইবার হামলা প্রতিহত করার লক্ষ্যে ২০১১ সালের শেষ দিকে একটি সাইবার ডিফেন্স হেডকোয়ার্টার প্রতিষ্ঠা করে ইরান।