আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আবেদন করতে হবে।
নতুন দল নিবন্ধনের আবেদনের সময়সীমা বেঁধে শিগগিরই গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
কমিশন সচিব মোহাম্মদ সাদিক জানিয়েছেন, ৩১ ডিসেম্বরকে শেষ সময় ধরে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হচ্ছে।
সংবিধান অনুযায়ী, ২০১৩ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে ২০১৪ সালের ২৪ জানুয়ারির মধ্যে দশম সংসদ নির্বাচন হবে।
বর্তমান আইন অনুযায়ী, শুধু নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলই নির্বাচনে অংশ নিতে পারে।
নবম সংসদ নির্বাচনে ৩৮টি দল অংশ নেয়। ২০০৮ সালের পর কোনো দল নিবন্ধিত হয়নি।
এখন দশম সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন দল নিবন্ধনে আবেদনের সময়সীমা বেঁধে দিতে যাচ্ছে ইসি।
এ বিষয়ে সিইসি কাজী রকিব বলেন, “সময়সীমা উল্লেখ করে নতুন রাজনৈতিক দলের আবেদনের বিষয়ে কাল (মঙ্গলবার) জানানো হবে এবং তা গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হবে।”
গণপ্রতিনিধি আদেশে রাজনৈতিক দল নিবন্ধনে সময়ে গণবিজ্ঞপ্তি দেয়ার বিধান রয়েছে এবং তা যাচাই-বাছাইয়ে সময়সীমা বেঁধে দেয়ার ক্ষমতাও ইসির রয়েছে।
নিবন্ধনের শর্ত মেনেই দলগুলোকে আবেদন করতে হবে বলে জানান তিনি।
নিবন্ধনের মূল শর্তগুলো হল- দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দলকে কমপক্ষে একটি সংসদীয় আসন থাকতে হবে; অথবা যে কোনো একটি নির্বাচনে অংশগ্রহণকৃত আসনে প্রদত্ত মোট ভোটের ৫ শতাংশ ভোট পেতে হবে; অথবা দেশের কমপক্ষে এক তৃতীয়াংশ (২১টি) প্রশাসনিক জেলায় দলের কার্যকর জেলা কমিটি এবং কমপেক্ষে ১০০টি উপজেলা/মেট্রোপলিটন থানায় ২০০ ভোটার সম্বলিত প্রামাণিক দলিল থাকতে হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে বাসা ভাড়া নিয়ে বা নামসর্বস্ব ঠিকানা দেখিয়ে ন্যূনতম শর্ত পূরণ করে দলের নিবন্ধন নিতে চান কেউ কেউ। প্রথমবার নিবন্ধন পাওয়া কয়েকটি দলের জেলা পর্যায়ে কার্যালয় খুঁজে পায়নি ইসি।
সময় বেঁধে দেয়ায় নির্বাচনের আগমুহূর্তে দল গঠন করে নির্বাচনের পথ রুদ্ধ হবে বলে মনে করছেন সাখাওয়াত এবং তা ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখছেন তিনি।
নবম সংসদের আগে ১১৭টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন করে। দলের খসড়া গঠনতন্ত্র দিয়ে ৩৯টি দল নিবন্ধিত হয়। পরে সংশোধিত স্থায়ী গঠনতন্ত্র দিয়ে ৩৮টি দলকে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন দেয় ইসি।