বার্তা ৭১ ডট কমঃ ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারা দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। আজ সকালে ঈদের নামাজ আদায় করতে ঈদগাহ ও মসজিদে সমবেত হন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
ঈদ উপলক্ষে রাজধানীকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। প্রধান প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপে টাঙানো হয়েছে রং-বেরঙের পতাকা। পাশাপাশি সব সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা ও ঈদ মোবারকখচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
ঈদে রাজধানীর বহু মানুষ গ্রামের বাড়ি যাওয়ায় রাজধানী এখন অনেকটাই ফাঁকা। আজ প্রধান প্রধান সড়ক দিয়েও রিকশা চলাচল করতে দেখা গেছে। বড়দের সঙ্গে নতুন আর বাহারি পোশাক পরে আনন্দে মেতেছে শিশুরা। পাড়া-মহল্লার সঙ্গে আছে শিশুপার্কসহ নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর আনন্দ।
ঈদ উপলক্ষে হাসপাতাল, জেলখানা, ভবঘুরেকেন্দ্র, বৃদ্ধাশ্রম ও শিশুসদনে আজ বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশের সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিওগুলো আয়োজন করেছে কয়েক দিনব্যাপী ঈদ অনুষ্ঠানের।
সকাল সাড়ে ৮টায় হাইকোর্ট-সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বায়তুল মোকাররম মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এতে ইমামতি করেন। জামাতে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, বিচারপতি, মন্ত্রিসভার সদস্য, জাতীয় সংসদের সদস্য, কূটনীতিকসহ সর্বস্তরের মানুষ। জাতীয় ঈদগাহের ভেতরে ও বাইরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এ ছাড়া অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও পুরুষের পাশাপাশি নারীদের জন্য জাতীয় ঈদগাহের দক্ষিণ দিকে আলাদা প্রবেশপথসহ পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
ঈদের দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনা টিকিটে ঢাকা সিটি করপোরেশনের আওতাধীন সব শিশুপার্কে প্রবেশ এবং সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিনা টিকিটে ঢাকা জাদুঘরে প্রবেশ এবং তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে মহানগরে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলার ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীতে শিশুদের ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করা হবে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে পৃথক পৃথক শুভেচ্ছা বাণী জানিয়েছেন।