বার্তা ৭১ ডট কমঃ রাজ্য থেকে মন্ত্রী হলেন হচ্ছেন আবু হাসেম খান চৌধুরী, দীপা দাশমুন্সি ও অধীররঞ্জন চৌধুরী। শনিবার প্রধানমন্ত্রী ফোন করে দিল্লিতে ডেকে পাঠিযেছিলেন তাঁদের। রোববার বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ সাত জন পূর্ণমন্ত্রী সহ মোট বাইশ জনের সঙ্গে শপথ নিলেন পশ্চিমবঙ্গের তিন সাংসদ
বহু প্রতীক্ষিত ও এযাবৎকালের মন্ত্রিসভার বৃহত্তম বদল ঘটে গেল। নির্ঘণ্ট মেনে রোববার সকাল ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ নতুন মন্ত্রীরা একে একে শপথ নিলেন। মালদহের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীর কাছে ফোন এসেছিল আগেই। তাঁর মন্ত্রী হওয়ার একরকম নিশ্চিত ছিল। পূর্ণমন্ত্রী হওযার জোরালো সম্ভাবনা থাকলেও রাষ্ট্রমন্ত্রী করা হল তাঁকে। তাঁর সঙ্গেই রাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী ও দীপা দাসমুন্সিও। সেই তালিকায় ছিল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের নামও। রাহুল গান্ধীর তরুণ ব্রিগেডের সদস্য ও সুজাপুরের সাংসদ মৌসম বেনজির নূরের নামও উঠে এসেছিল জল্পনায়।
এবারের রদবদলে রাজনৈতিক মহলে সর্বাধিক আলোচিত ছিল রাহুলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা। প্রথমটায় মনে করা হচ্ছিল, এখনই কোনও বড় মন্ত্রকে কোপ বসাবে না কংগ্রেস হাইকমান্ড। কিন্তু কাল থেকে শুরু হওয়া ইস্তফার ধুমে একে একে এস এম কৃষ্ণা, অম্বিকা সোনির মতো প্রথম সারির মন্ত্রীরা সরে আসায় নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। দলের তরফে এই মহীরুহ পতনকে তরুণ প্রজন্মের সুযোগ করে দেওয়ার প্রথম ধাপ বলে ব্যখ্যা করা হয়েছিল। যার ফলে সোনিয়া পুত্র রাহুল গান্ধী, সচিন পাইলট কিংবা মালদার গনিখান পরিবারের কনিষ্ঠা মৌসম বেনজিরের মতো তরুণ তুর্কীদের নাম বিবেচনায় উঠে আসতে শুরু করেছিল।