প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চাকরির পেছনে না ছুটে সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে দেশের যুব সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি যুব ভাই ও বোনদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, চাকরির পেছনে না ছুটে নিজেদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলো। এতে নিজেদের পাশাপাশি প্রতিবেশীদেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে।”
তিনি বৃহস্পতিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় যুব দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা চাই প্রত্যেক যুব নারী-পুরুষের হাত কর্মীর হাতে পরিণত হবে এবং তাদের যৌথ প্রয়াস শিগগিরই বাংলাদেশকে একটি স্বনির্ভর দেশে পরিণত করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, “প্রত্যেককে চাকরি দেয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়। একজন স্বনিয়োজিত যুবক চাকরির প্রত্যাশিত বেতনের চেয়ে মৎস্য চাষ, হটিকালচার, পোলট্টি ও ডেয়রি খামার করে অনেক বেশি উপার্জন করতে পারে।”
যুব অধিদফতর আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার। এতে অন্যান্যের মধ্যে একই মন্ত্রণালয়ের সচিব নূর মুহাম্মাদ বক্তৃতা করেন।
দিবসটি উপলক্ষে ১৫ যুব পুরুষ-মহিলাকে জাতীয় যুব দিবসের পদক দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুবরা দেশের মোট জনশক্তির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশের প্রতিনিধিত্ব করে। তারা উৎপাদন, আর্থ-সামাজিক কর্মসূচি ও রাজনৈতিক আন্দোলন থেকে দেশের সব জাতীয় কর্মকাণ্ডের অগ্রভাগে রয়েছে।
‘এজন্য আমি আস্থাবান যে আমরা যখন স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী পালন করবো সে সময় ২০২১ সালের মধ্যে তোমরা, এই যুব শক্তিই শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে’ – উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সে লক্ষ্যে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে।