বার্তা ৭১ ডট কমঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্ব অর্থনীতিতে আসেম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এ কারণেই এ জোটের সদস্য হওয়ার সব উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা আজ সোমবার লাওসের রাজধানী ভিয়েনতিয়েনের ন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, ইউরোপের সঙ্গে বাংলাদেশের সংস্কৃতির বৈচিত্রের ক্ষেত্রে পার্থক্য থাকলেও আসেমে অন্তর্ভুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে নবম এশিয়া-ইউরোপ শীর্ষ সম্মেলনের (আসেম-৯) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ দেয়ার মাধ্যমে এর সদস্য পদ লাভ করে বাংলাদেশ।
আসেমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর প্রথম শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশকে আসেমে অন্তর্ভুক্ত হতে সদস্য দেশগুলোর সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় এশিয়া ও ইউরোপের ৫১টি দেশের এ জোটের গুরুত্ব তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানের শুরুতেই আসেমের চেয়ারম্যান স্বাগত বক্তব্যে বাংলাদেশ, নরওয়ে ও সুইজারল্যান্ডকে নতুন সদস্য হওয়ার ঘোষণা দেন।
পরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্য দুই নতুন সদস্য রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীকে আসেমভুক্ত দেশগুলোর প্রতিনিধিরা স্বাগত জানান। এ সম্মেলনে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই উন্নয়ন, অর্থনৈতিক সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং আর্থ-সামাজিক সহযোগিতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন এশিয়া ও ইউরোপের ৫১টি দেশের নেতারা।
চলমান সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘শান্তির জন্য বন্ধুত্ব, সমৃদ্ধি অর্জনে অংশীদারিত্ব। এশীয় ও ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা, শান্তি, স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন ও অগ্রগতি বৃদ্ধিই এর লক্ষ্য’।
এ আগে গত রোববার এশিয়া ও ইউরোপের ৫১ জাতি ফোরামের সম্মেলনে যোগ দিতে লাওস পৌঁছান শেখ হাসিনা।
ভিয়েতনামের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাসীন কম্যুনিস্ট পার্টির মহাসচিবসহ রাজনৈতিক ও ব্যবসায়ী শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এ সফরে ভিয়েতনামের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত কৃষি ও বাণিজ্য খাতে ৪টি সমঝোতা স্মারক সইও হয়। পরে রোববার হ্যানয় থেকে ১০০ কিলোমিটার দুরে পার্বত্য এলাকায় দেশটির ঐতিহ্য বাই দিন বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শন করেন তিনি।
আগামী ৭ নভেম্বর সম্মেলন শেষে দেশে ফেরার কথা রয়েছে তার। গত ২ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ৭টায় ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি।