গত দুই মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে যেসব পদ খালি হয়েছে এক সপ্তাহের মধ্যেই সেগুলো পূরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
রোববার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে তুরস্কের শ্রম ও সামাজিক নিরাপত্তামন্ত্রী ফারুক সেলিকের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, “এর আগে আমি বলেছিলাম, এক সপ্তাহের মধ্যেই ব্যাংকগুলোর বোর্ড পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। তবে এ জন্য আরো চার থেকে পাঁচদিন সময় লাগবে।”
আগের মতো এবারো রাজৈনেতিক বিবেচনায় ব্যাংক পরিচালক নিয়োগ দেয়া হবে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “এটা বলা কঠিন। রাজনৈতিক ব্যক্তিরা শিল্প, ব্যবসা, শিক্ষা সব ক্ষেত্রেই জড়িয়ে আছেন। তাদের মধ্যে কেউ আসতেই পারেন- আমি জানি না।”
বর্তমান সরকারের সময়ে অরাজনৈতিক ব্যক্তিদেরই বেশি সংখ্যায় ব্যাংক পর্ষদে আনা হয়েছে বলে দাবি করেন মুহিত।
“এর আগে শিক্ষক ও ব্যাংকারদেরও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এটা একটা কম্বিনেশন। শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় এটা হয়নি।”
এর আগে গত ৬ নভেম্বর মুহিত জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী ভিয়েতনাম ও লাওস সফর শেষে দেশে ফেরার পর সরকার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
সোনালী ব্যাংকের একটি শাখা থেকে হলমার্ক গ্রুপসহ কয়েকটি কোম্পানির সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা সরানোর ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়ার পর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের দাবি ওঠে।
হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকও সোনালী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেয়ার সুপারিশ করে। অর্থমন্ত্রী সে সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই সুপারিশ করার এখতিয়ার নিয়েই প্রশ্ন তোলেন।
ঋণ কেলেঙ্কারির পর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, সোনালীসহ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ সেপ্টেম্বরেই শেষ হচ্ছে। এরপর নিয়ম অনুযায়ী এমনিতেই পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হবে।
এরপর আরো এক মাস পেরিয়ে গেলেও পুনর্গঠনের বিষয়টি ঝুলে থাকে। অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যের মধ্য দিয়েই অনুমান করা যাচ্ছে যে, আবার এসব আলোচিত-সমালোচিত পরিচালরাই নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংকে।