ঢাকা, ১১ নভেম্বর : বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘তিনি সর্প হয়ে দংশন করেন আর ওঝা হয়ে ঝাড়েন’।
সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ভবিষ্যতে জনগণের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধীদলীয় নেত্রীর এতদিন পর রামু যাওয়ার সময় হলো! তিনি রামু যাওয়ার আগে চীন গেলেন, তারপর ভারত গেলেন।
বিরোধীদলীয় নেত্রীর সামপ্রতিক ভারত সফরের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী ছিয়ানব্বইয়ে ভারত সফরে গিয়ে গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা চাইতে ভুলে গিয়েছিলেন। আর এবারও তিনি দেশের মানুষের স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিস্তাার পানি বণ্টনের কথা কতটুকু বলেছেন তা আপনারাই ভালো জানেন।
মহাজোট সরকারের সময় করা প্রায় ৬ হাজার স্থানীয়, পৌর, উপনির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ক্ষমতায় কে থাকবে না থাকবে তা নির্ধারণ করবে দেশের জনগণ।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় কণ্ঠে বলেন, যতই চেষ্টা করা হোক তাদের বিচার হবেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমরা বাংলাদেশকে একটি শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা চাই বাংলাদেশ বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।
দেশে ধনী ও দরিদ্র্যের ব্যবধান বাড়ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ব্যবধান কমিয়ে আনতে সরকার কাজ করছে। সরকার দারিদ্র্যের হার কমিয়ে মানুষের জীবনের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে চায়।
দেশে ধনী শ্রেণী তৈরির জন্য প্রধানমন্ত্রী সামরিক শাসকদের দয়ী করে বলেন, সামরিক শাসনামলে দেশে ঋণখেলাপি সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। নানা সুবিধা নিয়ে তারা সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। আর এদের ওপর ভিত্তি করেই সামরিক শাসকরা টিকেছিলেন।
যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতারা বক্তব্য রাখেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ।