বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের জন্য কোটার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেছে দুটি মানবাধিকার সংগঠন।
সোমবার বিকেলে বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান ও বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে আবেদনটি দাখিল করা হয়।
আইন ও সালিস কেন্দ্র ও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) পক্ষে অ্যাডভোকেট জেডআই খান পান্না এ আবেদন করেন।
রিটে শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে (ডিজি) বিবাদী করে দুটি রুলের পাশাপাশি এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানে সমতার কথা বলা আছে। বৈষম্যমূলক সুযোগ-সুবিধা দেয়া যাবে না। সাংসদদের জন্য কোটা প্রবর্তন বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত। এতে শ্রেণীবিভাজন হয়েছে।
শিক্ষা সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী রবিবার জানান, বেসরকারি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যদের জন্য দুই শতাংশ কোটা রাখা হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট নীতিমালা সংশোধন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ওই সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং কোটা প্রবর্তনের প্রক্রিয়া থেকে বিবাদীদের বিরত রাখতে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না- সে বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে রিট আবেদনে।
এছাড়া কোটা প্রবর্তন প্রক্রিয়া চালিয়ে নেয়ার ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিত আদেশ চাওয়া হয়েছে ওই রিটে।
শুনানিকালে আদালত বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু সরকার এখনো প্রজ্ঞাপন জারি করেনি। প্রজ্ঞাপন জারির পর বিষয়টি নিয়ে আসুন।