প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আন্দোলন-সংগ্রাম করে একাত্তরের খুনীদের বিচার করাকে বন্ধ করা যাবে না।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনির্মিত একটি হল ও জগন্নাথ হলের একটি ভবনের উদ্বোধন এবং বেশ কয়েকটি স্থাপনার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকসহ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তাদের সাথে টিউটোরিয়াল করেছি। তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলে সে কথা বারবার মনে পড়ে যায়।”
“ওই খুনীদের বিচার করা তো আমাদের দায়িত্ব। এই বিচার বন্ধে নানা কর্মকাণ্ড চলছে, তা আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। যারা শিক্ষক হত্যা করেছে, মা-বোনের ইজ্জত লুটেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে ও গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচার হবেই।”
আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের বিচার বন্ধ করা যাবে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা এসেছি। যদি ভেবে থাকে, আন্দোলন-সংগ্রাম করে আমাদের নার্ভাস করে দেবে- তাহলে ভুল করবে। আমাদের কাজ আমরা করবই। এ বিচার হবেই।”
এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
এ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারীদের আবাসিক ভবন ‘বঙ্গবন্ধু টাওয়ার’, রোকেয়া হলের ‘৭ মার্চ ভবন’ ও ফার্মেসি ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং নবনির্মিত কবি সুফিয়া কামাল হল, জগন্নাথ হলের সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য ভবন, সামাজিক বিজ্ঞান ভবন এবং উচ্চতর মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান এ কে আজাদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, উপ-উপাচার্য নাসরিন আহমেদ ও শহীদ আখতার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ কামাল উদ্দীন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।