ঢাকা, ১৫ নভেম্বর : সম্প্রতি রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর জামায়াত-শিবিরের হামলা, সংঘর্ষ ও ভাংচুরের ঘটনায় ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এক বিবৃতিতে এই উদ্বেগের কথা জানানো হয়। বিবৃতিতে সহিংসতায় যারা আহত ও ব্যক্তিগতভাবে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তাদের প্রতি সহমর্মিতা জানানো হয়েছে।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর শীর্ষ নেতাদের মুক্তি দাবিতে গত ৫ নভেম্বর মতিঝিলে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষের পর থেকে দেশের বিভিন্নস্থানে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ চলে আসছে।
সোমবার জয়পুরহাট শহরের অদূরে ছাত্রশিবিরের কর্মীরা এক পুলিশ সদস্যের গায়ে আগুন দেয়া এবং মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদের গাড়িবহরে হামলারসহ বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে গত কয়েকাদিনে।
জামায়াতে ইসলামির এহেন আচরণের দায় নিতে রাজী নয় বিএনপিও। বুধবার রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে ১৮ দলীয় জোটের বৈঠকের পর বিএনপির মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জামায়াতের কর্মসূচির দায় বিএনপি নেবে না। জামায়াত একটি আলাদা রাজনৈতিক দল এবং তারা যে কর্মসূচি দিয়েছে সে দায়দায়িত্ব তাদের।
মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে জড়িত হওয়া একটি মৌলিক গণতান্ত্রিক অধিকার, সহিংসতায় জড়িয়ে পড়ার কোন যৌক্তিকতা নেই। আমরা বিশ্বাস করি, সংলাপই যে কোনো মতপার্থক্য দূর করার উত্তম পন্থা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বুধবার এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াতে ইসলামী কর্মীদের হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ‘অন্য দলেরও’ জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষায় যে ‘ধর্মান্ধ গোষ্ঠী’ তাণ্ডব চালাচ্ছে, তাদের আইনি প্রক্রিয়ায় দমন করা হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
সারা দেশে পুলিশের ওপর হামলা-তাণ্ডব চললেও পুলিশ কঠোর অবস্থানে যায়নি কেন জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করতে তারা চোরাগোপ্তা হামলা করছে। পুলিশ আক্রান্ত হলেও কোথাও গুলির ঘটনা ঘটেনি। সর্বোচ্চ সহনশীলতা দেখানো হয়েছে।