চলচ্চিত্র, টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও সাংবাদিকতার মানোন্নয়নে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট আইন ২০১২’ এর খসড়ায় এই অনুমোদন দেয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইয়া সাংবাদিকদের বলেন, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন সংশ্লিষ্টরা দীর্ঘদিন ধরে একটি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এ কারণে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে এই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এই প্রতিষ্ঠানে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ ও কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
সচিব জানান, ইসলামী-আরবি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১২- এর খসড়ায় মন্ত্রিসভা চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে।
ফাজিল ও কামিলসহ উচ্চ পর্যায়ের মাদ্রাসা শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত এ আইনের খসড়া গত ৬ অগাস্ট মন্ত্রিসভার নীতিগত অনুমোদন পায়।
সচিব জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে এ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের কামিল ও ফাজিল মাদ্রাসাগুলোর অ্যাফিলিয়েটিংয়ের (অধিভুক্তির) কাজ করবে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে অনুমোদনবিহীন ৫০০ ফাজিল ও ৩০০ কামিল মাদ্রাসা রয়েছে। আর অধিভুক্ত মাদ্রাসা রয়েছে ফাজিল ৯৮২টি এবং কামিল ১৪৫টি।
এসব মাদ্রাসার যাবতীয় কার্যক্রম তদারকি, শিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ, শিক্ষক নিয়োগ ও অনুমোদনের কাজও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় করবে।