রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী দিবসে শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ।
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান বুধবার সকাল ৮টায় ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবকও অর্পণ করেন। তিন বাহিনীর একটি চৌকষ দল এ সময় সামরিক কায়দায় অভিবাদন জানায়, বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময়ও বিউগল বাজিয়ে শহীদদের প্রতি সামরিক কায়দায় সালাম জানানো হয়।
তিন বাহিনীর প্রধান এবং সশস্ত্র বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা জানানো শেষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী দুজনেই শিখা অনির্বাণে দর্শনার্থী বইয়ে সই করেন।
পরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ইকবাল করিম ভূইয়া, নৌ-বাহিনী প্রধান ভাইস এডমিরাল জহির উদ্দিন আহমেদ এবং বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার মার্শাল মোহাম্মদ ইনামুল বারী নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে ফুল দেন।
সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানরা পরে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এরপর বীর শ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের নিয়ে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণের সূচনা করে। এরপর থেকে প্রতিবছর ২১ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী দিবসে বাণী দিয়েছেন। সশস্ত্র বাহিনীর পরিচালনাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
দেশের সব সেনানিবাস, নৌ-ঘাঁটি ও স্থাপনা এবং বিমান ঘাঁটির মসজিদে দেশের কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করে বুধবার ফজর নামাজের পর বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।
এদিন ঢাকা (সদরঘাট), নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালে বিশেষভাবে সজ্জিত নৌ-বাহিনী জাহাজগুলো বুধবার দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। দেশের সব সেনানিবাস, নৌ ও বিমান ঘাঁটিতেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন রয়েছে।
সন্ধ্যায় ঢাকা সেনানিবাসের সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতার পাশাপাশি দেশের রাজনীতিক, বিচারপতি, কূটনীতিক ও ঊর্ধ্বতন বেসামরিক কর্মকর্তারাও যোগ দেবেন।