ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ বিশ্বে পঞ্চম। অনেকে বিস্মিত
হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ কীভাবে এত প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যেখানে বিশ্বে মহামন্দা চলছে। সেখানে আমরা ভালো করছি। রফতানি কমে গেছে, তা সত্য নয়। বরং বেড়ে গেছে। তার হিসেব আমার কাছে আছে। বিনিয়োগ কমে গেছে তাও নয়। দুই দশমিক পাঁচ বিলিয়ন বিনিয়োগ হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা বিদ্যুৎ, গ্যাস, অবকাঠামোর উন্নয়ন করেছি। বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি স্থান, সবাই এখানে আসতে চায়। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক বিভিন্ন চুক্তি রয়েছে।’’
তিনি বলেন, চারদলীয় জোট সরকার তাদের আমলে কাজ করে গেলে আমাদের রফতানির সুযোগ আরো বাড়তো। কিন্তু তারা করেনি। দেশে বিনিয়োগ আসার পেছনে কারণ রয়েছে। আমরা জঙ্গিবাদ বন্ধ করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। তাই বিনিয়োগ আসছে। চলতি অর্থবছরে এক দশমিক তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ বাংলাদেশে এসেছে।’’
বুধবার জাতীয় সংসদের বৈঠকে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ফজলুল আজিমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা এসব তথ্য তুলে ধরেন।
গোলাম দস্তগীর গাজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আমি অধিকাংশ সময় আমাদের দেশীয় জামদানি পড়ে বিদেশে এ শাড়ির ব্রান্ডিং করি। ভবিষ্যতেও এটা থাকবে। ৯৬ তে ক্ষমতায় থাকার সময় আমরা সোনাগাঁওয়ে জামদানি ব্যবসার বিকাশে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি করি। জামদানি আমাদের দেশীয় পণ্য। এটাকে বিদেশে পরিচিত করতে হবে। মেধাস্বত্ত্ব আইন আদায় করে নিতে হবে।’’
বজলুল হক হারুনের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমাদের গত সরকারের সময়ে যে রাস্তাগুলো করেছি, বিএনপি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সেগুলো সংস্কার করা হয়নি। আমরা এসে আবার সংস্কার করেছি। একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আমরা সব করে দেবো।’’
ফজিলাতুন নেসা বাপ্পীর (মহিলা আসন-৩৭) প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বর্তমানে চলচ্চিত্র, স্যাটেলাইট, ওয়েবসাইট ও মোবাইলের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি ব্যাধির মতো সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। পর্নোগ্রাফি যুবসমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর শিকার হয়ে অনেক নারী-পুরুষ ও শিশুকে সামাজিকভাবে হেয় হতে হচ্ছে।’’
তিনি বলেন, ‘‘বাস্তবতার আলোকে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্নোগ্রাফির সংজ্ঞা, শাস্তি, অপরাধের আমলযোগ্যতা, অপরাধের বিচার ও আপিল ইত্যাদি বিষয় সন্নিবেশ করে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ প্রণয়ণ করা হয়েছে।”
এই প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ‘‘মানব পাচার একটি জঘন্যতম অপরাধ। এটা একটি আন্তর্জতিক সমস্যা। বাংলাদেশে নারী শিশুরা বিশেষভাবে এর শিকার হয়ে থাকে। পাচার রোধে বিভিন্ন উদ্যোগ থাকলেও সুনির্দিষ্ট আইন না থাকায় তার প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না।’’